• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ
    • যোগাযোগ
    • অভিযোগ
    • ই-পেপার

    রমজানের বরকত লাভ অব্যাহত রাখার তিনটি সহজ উপায় 

     dailybangla 
    04th Aug 2021 7:32 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আবারো আমাদের আগের জীবনাচারে ফিরে যাই। তবে মনে রাখা উচিত, আমাদের রমজান তখনই ফলপ্রসু হবে, যদি রমজানের পরবর্তী মাসগুলোতে আমরা পূর্বের চেয়ে আরো বেশি ইসলামের নিকটবর্তী হতে পারি।

    তাই এমন কিছু সহজ উপায় জানা থাকা দরকার যা অবলম্বনের মাধ্যমে রমজানে তৈরি হওয়া উত্তম অভ্যাসগুলো পরবর্তীতেও অব্যাহত রাখা যায়।

    এখানে এরকম তিনটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো-

    ১. কোরআনের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন অব্যাহত রাখা

    রমজান শেষ হয়ে গেলেও কোরআনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের যেন কোনো অবনতি না ঘটে। কারণ আল্লাহতায়ালার সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে তার বাণীর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা।

    তাই প্রতিদিন নিয়ম করে কোরআন থেকে কয়েকটি আয়াত তেলাওয়াত করা ও আয়াতসমূহের মর্ম অনুধাবন করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

    অনেকে সাবলীলভাবে তেলাওয়াত করতে না পারার অজুহাতে কোরআন তেলাওয়াত ছেড়ে দেন। এটি মোটেও ঠিক নয়। কেননা আল্লাহতায়ালা সবসময় সৎকর্মে আমাদের চেষ্টার মূল্যায়ন করে থাকেন।

    এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যারা সহিহ-শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করে, তারা নেককার সম্মানিত ফেরেশতাগণের সমতুল্য মর্যাদা পাবে এবং যারা কষ্ট সত্ত্বেও কোরআন সহিহ-শুদ্ধভাবে পড়ার চেষ্টা ও মেহনত চালিয়ে যায়; তাদের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। (সুনানে আবু দাঊদ, হাদিস: ১৪৫৪)

    ২. প্রতিদিন অন্তত দুজনকে সৎকর্মে উৎসাহিত করা

    ইসলামে অন্যের প্রতি সদয় হওয়াকে সর্বোত্তম সদকা বলা হয়েছে। আর কারো সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলাও সদয় আচরণের অন্তর্ভুক্ত।

    নবীজি (সা.) বলেন- প্রতিটি ভালো কাজ সদকা। আর গুরুত্বপূর্ণ একটি ভালো কাজ হলো, অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা। (তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৭০)

    অন্যের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা অন্যান্য ইবাদাত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই অপর ভাইয়ের সাথে উত্তম আচরণ করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। মুসলমান হিসেবে আমরা আমাদের উত্তম আচরণের মাধ্যমে সহজেই অন্যকে ইসলামের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে পারি।

    কখনো কখনো আগন্তুকের সাথে আমাদের একটি মুচকি হাসিও তাকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। আন্তরিকতার সঙ্গে করা কোনো ভালো কাজ ইসলাম ছোট করে দেখে না; বরং বলা হয়েছে, পরিচ্ছন্ন মানসিকতায় করা অল্প আমলই জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য যথেষ্ট।

    সুতরাং অন্যকে ভালো কাজে উৎসাহিত করার মতো ছোট একটি কাজও কিন্তু আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু হতে পারে।

    ৩. নিয়মিত অল্প হলেও কিছু দান-সদকা করা

    আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তুমি তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো কাজ করো। আল্লাহর কাছে পরিমাণে অল্প হলেও নিয়মিত করা ভালো কাজই সর্বাধিক প্রিয়। (ইবনে মাজাহ)

    প্রতিদিন পাঁচ/দশ টাকা দান করা আমাদের জন্য মোটেও কষ্টসাধ্য নয়। কিন্তু উপরোক্ত হাদিস অনুযায়ী নিয়মিত করা এই অল্প সদকা আমাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, হতে পারে আখিরাতে মুক্তিলাভের একটি মাধ্যম।

    এক্ষেত্রে কোনো এতিম কিংবা বিধবার অর্থনৈতিক দায়িত্বভার গ্রহণ করা সদকার একটি উত্তমরূপ হিসেবে গণ্য হতে পারে। তাছাড়া বিধবা কিংবা এতীমের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করার ফযীলতের ব্যাপারে বহু হাদিস বর্ণিত আছে।

    বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থা কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত এতিমখানাগুলো আমাদের জন্য কোনো এতিমের দায়িত্ব গ্রহণ করা সহজ করে দিয়েছে।

     

    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    October 2024
    M T W T F S S
     123456
    78910111213
    14151617181920
    21222324252627
    28293031