‘রামপুরায় বাসে আগুন, এত অল্প সময়ে তারা লাইভে গেল কীভাবে?’
‘রামপুরায় গাড়িগুলোতে ছাত্ররা আগুন দেয়নি। একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ওই মহল ছাত্রদের গায়ে কালিমালেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বুধবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, হাফ ভাড়া ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বিআরটিসি বাসে হাফ ভাড়া আজ থেকে কার্যকরের নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ঢাকার বাস মালিক সমিতিও হাফ ভাড়া কার্যকর করেছে। হাছান মাহমুদ বলেন, গত পরশু রাতে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। সেটি হচ্ছে, রামপুরায় অনাবিল পরিবহণের বাসচাপায় একজন ছাত্র নিহত হয়েছে। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। কিন্তু এ ঘটনা একটু বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই, এই ঘটনা থেকে কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্যানুযায়ী ঘটনাটি ঘটে রাত পৌনে ১১টায়। এর ১২ মিনিট পর ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ তাদের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করে। রাত ১১টায় জামায়াত পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে খবরটি প্রকাশিত হয়। আর সেখান থেকে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। এখন প্রশ্ন হলো- ১২ মিনিটেই ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ পেজের অ্যাডমিন সেখানে কীভাবে পৌঁছাল, সেখান থেকে লাইভ কীভাবে করল? বাঁশের কেল্লা কীভাবে ১৫ মিনিটের মধ্যে এই খবর পেল এবং সেখান থেকে খবর প্রচার করল?
ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ১০-১২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গাড়িগুলোতে আগুন ছাত্ররা দেয়নি। কারণ ঘটনার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে এত ছাত্র সেখানে পৌঁছায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ফেসবুক পেজে লাইভ দিয়েছে তারা কি ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকেই অবহিত ছিল?১২ মিনিটের মধ্যে যারা লাইভে গেছে এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে লোকজন জড়ো করে বাসে আগুন দেওয়া হলো, তারা আগে থেকে প্রস্তুত নিশ্চয়ই ছিল। এত অল্প সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনী/পুলিশ সেখানে পৌঁছাতে পারে না, অথচ তারা পৌঁছে গেল কীভাবে? এই প্রশ্নগুলো উঠে এসেছে।
ছাত্রদের আন্দোলনে ভর করে একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত পরশু রাতের ঘটনা থেকে সেটি স্পষ্ট।ছাত্রদের গায়ে কালিমা লেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এগুলো দুষ্কৃতকারীরা করেছে।এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা নিয়ে অবশ্যই তদন্ত হচ্ছে এবং হবে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে নিশ্চয়ই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।