রুশ সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং শীর্ষস্থানীয় রুশ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময় যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
২৫ জুন, মঙ্গলবার আইসিসির এক বিবৃতিতে রুশ সামরিক বাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বলেছে, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামোতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দায় ওই দুই সন্দেহভাজনের বলে বিশ্বাস করার মতো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পেয়েছেন বিচারকরা।
ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিক ও বেসামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর ঘটনায় রুশ কর্মকর্তারা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে শোইগুকে সরিয়ে দেশটির শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে এটাই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রদবদল।
এদিকে, রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হেগ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও দেশটির এই আদালতের সদস্য নয়। রাশিয়া বারবার বলেছে, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বৈধ লক্ষ্যবস্তু। একই সঙ্গে ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিক কিংবা বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মস্কো।
অন্যদিকে, ইউক্রেনও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। তারপরও আইসিসিকে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে সংঘটিত অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার দিয়েছে দেশটি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৮৫১ দিনের মতো চলছে দেশ দুটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
বিআলো/শিলি