লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু, ঘটনা তদন্তে কমিটি
নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকার পর এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে ওই কমিটি।
রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।
মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়া রোগীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক রুবিনা ইয়াসমিনকে প্রধান করে গঠিত ওই তদন্ত কমিটিতে অন্যদের মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার প্রতিনিধি হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল মেডিসিন চিকিৎসক, ওয়ার্ড মাস্টার রয়েছেন। তিন কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।
এ অবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
রোববার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটে আটকা পড়েন রোগী মমতাজ বেগম (৫৩)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার বারিগাও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী।
বিআলো/শিলি



