লোহাগাড়ায় ৪১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সংকট
নুরুল আমিন, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। মোট ১০৩টি বিদ্যালয়ের বিপরীতে এত বড় শূন্যপদে পাঠদান থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কার্যক্রম—সবই ব্যাহত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুলগুলোর দাপ্তরিক কাজ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক মনিটরিং—সব ক্ষেত্রেই জটিলতা দেখা দিচ্ছে। ফলে শিক্ষার মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অভিভাবকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষার মতো ভিত্তিপ্রস্তরের স্তরে এই সংকট শিশুদের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। শূন্যপদ দ্রুত পূরণের দাবি জানান তারা।
চাঁন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, “প্রধান শিক্ষক না থাকায় অফিসিয়াল নথিপত্র, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রশাসনিক যোগাযোগে দেরি হচ্ছে। আবার ক্লাসও নিতে হচ্ছে—ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। উপস্থিতি, শৃঙ্খলা ও একাডেমিক মনিটরিং নিয়মমতো করা যাচ্ছে না, যা শিক্ষার মান কমিয়ে দিচ্ছে।”
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রায় এক যুগ ধরে পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। এতে মানসম্মত শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইবনে মাসুদ রানা বলেন, “মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে পদোন্নতি ও নিয়োগ দুই-ই আটকে আছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই সমাধান হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, “এ সংকট শুধু লোহাগাড়ার নয়, সারা দেশের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সমাধান আসবে।”
বিআলো/ইমরান



