শঙ্কিত ইসি আগারগাঁওয়ে ফায়ার স্টেশন চায়
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগারগাঁওয়ের আশপাশে কোনো ফায়ার স্টেশন না থাকায় নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য এ এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন চায় সংস্থাটি। ইসির উপসচিব ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদ আব্দুস ছালাম এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ইতোমধ্যে একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। নির্দেশনার অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনফ্রাস্টাকচার) এবং সিআইআই (ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার) ভুক্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ভবনসহ একাধিক সাংবিধানিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা রয়েছে। এসব অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় দুর্ঘটনা বা অগ্নিসংযোগ ঘটলে তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপণ বা উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্র এলাকায় কোনো ফায়ার স্টেশন নেই। দূরবর্তী অন্য এলাকার ফায়ার স্টেশন থেকে সংবাদ পাওয়া সাপেক্ষে ফায়ার কর্মী বা উদ্ধারকারী সংস্থা বা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদল এসে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
এতে তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিনির্বাপণ কাজ শুরু করতে না পারলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের বা প্রাণের ক্ষতি অনেক বেশি হওয়ার সম্ভবনা থাকবে। এ কারণে আগারগাঁও এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা প্রয়োজন।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এসব গুরুত্ব বিবেচনায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত) আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনা এবং বাস্তবতার আলোকে নির্বাচন ভবনসহ একাধিক সাংবিধানিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তা বিবেচনায় আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে একবার নির্বাচন ভবনে আগুন লেগেছিল। এতে নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে রক্ষিত নির্বাচনী উপকরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে সেবার বড় কোনো ক্ষতির হাত থেকে সহজেই রক্ষা হয়েছিল ছোট অগ্নিকাণ্ড হওয়ায়। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট সেদিন কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সে সময়কার ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণেই আগুন লেগেছিল।
এতে বেজমেন্টে সংরক্ষিত চার হাজার ৫০০টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মধ্যে দুই হাজার ৭৪৮টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় তিন কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
বিআলো/শিলি