শহরের প্রধান সড়কের বেহাল দশায় জনভোগান্তি চরমে
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: একদিকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব অন্যদিকে সড়কের নিচে থাকা গ্যাস লাইনের লিকেজ। এমন অবস্থায় বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে মুন্সীগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কসহ অধিকাংশ সড়ক। কার্পেটিং উঠে দেখা দিয়েছে খানাখন্দ। এতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা। পৌরসভার তথ্যমতে, খাতা-কলমে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভাটিতে এক লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষ রয়েছে। এ জনসংখ্যা ছাড়াও বাইরে থেকে আসা আরও অনেকে সড়ক ব্যবহার করেন। ১০ কিলোমিটার আয়তনে পৌর এলাকায় ৬০ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ অধিকাংশ সড়কেই রয়েছে খানাখন্দ। মুন্সীগঞ্জ শহরে প্রবেশের প্রধান পথ মানিকপুর-দশতলা সড়ক। জেলা শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কটির আধা কিলোমিটারের বেশি অংশ জুড়ে অজস্র খানাখন্দ, মানিকপুর এলাকায় বড় অংশে উঠে গেছে পিচ ঢালাই। বৃষ্টি নামলে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। স্কুল- কলেজ, কোর্ট-কাচারিসহ নিত্য যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সবশ্রেণির মানুষ। মানিকপুরের এই সড়কেই রয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল। যা জেলার প্রধান চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান। রাস্তা ভাঙাচোরা থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। এদিকে শুধু এই সড়ক নয় পৌরসভার অন্যান্য সড়কগুলোরও একই দশা।
তাদের অভিযোগ, সড়কগুলোর কোনো সংস্কার হচ্ছে না। এর সঙ্গে আবার সড়কের নিচে গ্যাসলাইনে রয়েছে লিকেজ। লিকেজ থেকে প্রায় গ্যাস বের হওয়া অবস্থা হচ্ছে আরও নাজুক। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আখি ইসলাম জানান, মানুষ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে আসে এই রোড দিয়ে। তবে রাস্তার এত বেশি খারাপ অবস্থা যে, রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। হাসপাতালে অনেক প্রসূতি নারীও আসে তাদের তো জীবন যায় যায় অবস্থা।
ভাঙাচোরা সড়কের বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, পৌরসভার অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত, মানিকপুরে হাসপাতালের সড়কটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। একই সাথে হাটলক্ষ্মীগঞ্জের রেডক্রিসেন্ট ভবন থেকে জেলাপরিষদ সড়কটিও মেরামত প্রয়োজন। গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়কের অস্থায়ী সংস্কারের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আর স্থায়ী সংস্কারেরও পরিকল্পনা রয়েছে। পৌর এলাকার সব সড়ক সংস্কার নির্মাণে আড়াইশ কোটি টাকার বিভিন্ন প্যাকেজের পরিকল্পনা চলছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মৌসুমী মাহবুব বলেন, গ্যাস লাইন লিকেজের বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। জনভোগান্তির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিআলো/তুরাগ