শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক-নার্সদের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার স্বপক্ষের ব্যক্তিকে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন মাতুয়াইলে অবস্থিত শিশু-মাতৃ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক-নার্সরা।
সংবাদ সম্মেলনে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিষ্ঠানের বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সাথে স্বাক্ষাতের ব্যবস্থা করে নির্বাহী পরিচালক পদায়নের অনুরোধ করেন। অন্যথায় ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা কর্মবিরতির (জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ছাড়া) ঘোষণা দেন। তাতেও দাবি আদায় না হলে আরও কঠিন কর্মসূচির দিকে যাবেন বলে চিকিৎসকরা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নবজাতক বিশেষজ্ঞ ও গ্লোবাল নিউবর্ন সোসাইটির চেয়ারপারসন ডা. মোহাম্মদ মজিবুর রহমানের ত্যাগ-বিসর্জন ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে তার ভূমিকা তুলে ধরে তাকে নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ করাসহ বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন। এসময় প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা দাবিগুলোর সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। লিখিত বক্তব্য রাখেন শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বৈষম্য বিরোধী সংস্কার কমিটির সদস্য ডা. মো. আহসানুল হক। বক্তব্য রাখেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বৈষম্য বিরোধী সংস্কার কমিটির আহবায়ক ডা. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাসুম খান।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, বিগত ১৬ বছর অনেক নিপীড়ন সহ্য করেছি। পুনরায় স্বাচিপের কেউ নির্বাহী পরিচালক হলে দুর্বার আন্দোলন করে তাকে নামানো হবে। তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর পরিদর্শক টিম এসে এখানকার চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
তারা বলেন, আমাদের বেতন ভাতা আটকে আছে। টাকার অভাবে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক নির্বাহী পরিচালক ডা. এম এ মান্নানের কেনাকাটা, দলীয় লোক নিয়োগ ও পদায়ন, দলীয়দের অতিরিক্ত কাজের নামে মাসোহারা প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়। দয়াগঞ্জে চায়ের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে ডা. দেলোয়ার যে জঘণ্য হামলা করেন, তার শিকার ডা. মজিবুর রহমান, ডা. শাহীনূর করিম, ডা. আহসানুল হক ও ডা. তাজুল ইসলামসহ ৪ জন চিকিৎসকের প্রাণনাশের প্রচেষ্টার বর্ণনা দেন চিকিৎসকরা।
১৬ বছরে স্বাচিপের নির্দেশনায় ১৩ জনের চাকরিচ্যুতি, ৬২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে মামলা করে কোন রকমে টিকে থাকা, ২ জন মারা গেলেও তাদের পরিবার কিছুই পায়নি। যা দুঃখজনক এবং ৮০/৯০ জনের নিয়োগ স্থায়ী না করায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিআলো/তুরাগ