শীতের রাতে মরিচ দিয়ে মুড়ি খেতেন অপু!
বিনোদন প্রতিবেদক: গ্রামগঞ্জের পাশাপাশি ঢাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শুষ্ক আবহাওয়ার
প্রভাব পড়ছে শরীরে। ঘন কুয়াশায় উত্তরবঙ্গের মানুষ হয়ে পড়েছে
নিরুপায়। অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসও উত্তরবঙ্গের, এই শীতে তিনি কেমন
আছেন, সাধারণ মানুষের জন্যও কি ভাবছেন তা জানিয়েছেন আমি
উত্তরবঙ্গের মানুষ। বুঝতেই পারছেন কতটা শীতের মাঝে বড় হয়েছি। তবে
ঢাকায় আসার পর গ্রামের শীত খুব মিস করি। আরো কিছু মিস
করি।প্রথম মিস করি মায়ের বকুনি। এটা করিস না, ওখানে যাস না,
বেশিক্ষণ ধরে স্নান করিস না মানে সব কথার শেষে ঠাণ্ডা লেগে যাবে
থাকত। আমরা ভাই-বোন মিলে ১০ জন ছিলাম। শীতের রাতে মা মরিচ
বেশি দিয়ে মুড়ি মাখাতেন। আমরা ভাই-বোন সবাই মিলে এক লেপের
মধ্যে পা ঢুকিয়ে দিদার গল্প শুনতাম।
গল্প শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে যেতাম বলতেও পারতাম না। আজ মা-
দিদাকে খুব মনে পড়ে। তখনকার দিনে এত বেশি প্রসাধনী ছিল না।
তবে আমাদের চামড়া খসখসে হতো না মায়ের বিশেষ যত্নে। অনেকেই
হয়তো জানেন না, গরুর দুধের সরে অনেক বেশি ময়েশ্চারাইজার থাকে।
মা রাতে ঘন করে দুধ জ্বালিয়ে রাখতেন। সকালে সেটা থেকে সর তুলে
আমাদের শরীরে লাগিয়ে দিতেন। এখন তো বাজারে অনেক ধরনের
প্রসাধনী পাওয়া যায়। লিপজেল, ভ্যাসলিন ক্রিম, অলিভ অয়েল আরো কত কী!
দামও হাতের নাগালে। যাদের সাধ্য আছে তারা ব্যবহার করুন।
শীত এলে গ্রামের কথাও অনেক মনে পড়ে। আজও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে
মানুষের গরম কাপড় নেই। তারা শীতে অনেক কষ্ট পায়। আমি চেষ্টা করি
প্রতিবছর নিজের সাধ্যমতো এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তবে
একার পক্ষে আর কতটা সম্ভব? আমি চাই, একটা শেয়ার অ্যাপস তৈরি
করা হোক। সেখানে যে যার সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আমার
ছেলে জয় এবার আট বছর পার করছে। গত বছর ওর যে শীতের কাপড় ছিল
সেগুলো তো এ বছর ছোট হয়ে গেছে। আমি সেটা এরই মধ্যে দিয়ে
দিয়েছি। এ রকম অনেকের বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। বাচ্চারা
দ্রুত বেড়ে ওঠার কারণে এক বছরের কাপড় পরের বছরে পরতে পারে না।
অনেকে দেখেছি ডাস্টবিনে সেগুলো ফেলে দেয়। এটা না করে বাসায়
কাজের বুয়ার সন্তানদের বা যে মানুষটা ময়লা নিতে আসে তাদের
সন্তানদের দিলেও তো হয়। আমি চাই, মানুষ আরো সচেতন হোক,
একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়াক। তাহলেই বাংলাদেশ আরো সুন্দর হবে।
বিআলো/শিলি