শুভ বড়দিনে রঙিন আলোয় সেজেছে নীলফামারীর খ্রিষ্টান পল্লীগুলো
নাজমুল হুদা, নীলফামারী: যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ উপলক্ষে নীলফামারীর খ্রিষ্টান পল্লীগুলোতে বিরাজ করছে উৎসবের আনন্দঘন পরিবেশ। বর্ণিল সাজ, মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিশ্বশান্তির দূত যিশুকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত জেলার বিভিন্ন পল্লি ও গির্জা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বড়দিনকে কেন্দ্র করে নীলফামারীর প্রতিটি খ্রিষ্টান পল্লি নতুন রূপে সেজেছে। ঘরবাড়িগুলো সাজানো হয়েছে রঙিন কাগজ, জরি ও বাহারি আলো দিয়ে। বিশেষ করে গির্জা প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকাজুড়ে করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা। সন্ধ্যা নামলেই আলো-ঝলমলে পরিবেশে পুরো এলাকা উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে, যা সৃষ্টি করে এক অনন্য মায়াবী আবহ।
উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পল্লিতে পল্লিতে আয়োজন করা হয়েছে নানা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে নগর কীর্তন, ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আনন্দ আয়োজন। এ ছাড়া একে অপরের সঙ্গে উপহার বিনিময় ও শিশুদের জন্য বিশেষ আনন্দঘন আয়োজনও রাখা হয়েছে। বড়দিনের মূল দিনে গির্জাগুলোতে বিশেষ প্রার্থনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
স্থানীয় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, বড়দিন মূলত আনন্দ, প্রেম ও ক্ষমার উৎসব। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই আয়োজনের মাধ্যমে শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস চালানো হয়। তাদের মতে, বড়দিন এখন শুধু খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; বরং এটি সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
বড়দিনের মূল দিনে বিশেষ প্রার্থনার পাশাপাশি প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন স্থানীয়রা। নীলফামারীতে বড়দিনকে ঘিরে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিআলো/ইমরান



