শেষ হল বই ছাপার কাজ, অবসরে যাচ্ছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শিক্ষার্থীদের জন্য চলতি বছরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ শেষ হয়েছে। সোমবার মাধ্যমিক পর্যায়ের বইয়ের সর্বশেষ লট বিতরণের ছাড়পত্র মিলেছে। শিগগিরই সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে আশা করছেন পাঠ্যবই মুদ্রণ ও তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে অবসরে যাচ্ছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
মঙ্গলবার তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সোমবার তাকে এনসিটিবির চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রত্যাহার করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ পাঠ্যবই বিতরণ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সরকারের পরিবর্তনের পর পাঠ্যবই পরিমার্জনে অনেকটা সময় লেগে যাওয়ার ছাপা শুরু হতে দেরি হয়। ফলে বছরের শুরুতে সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। বই ছাপার কাজ শেষ হলো শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় মাস মার্চের শেষদিকে এসে।
চলতি বছর মাধ্যমিক, দাখিল ও ইবতেদায়ী পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ৩০ কোটি ৪৮ লাখ কপির বেশি। এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক মো. হাফিজুর রহমান সোমবার রাতে বলেন, “মাধ্যমিক পর্যায়ের সর্বশেষ লটের বই বিতরণের ছাড়পত্র পাওয়া গেছে আজ। ছাপার কাজ একদিন আগে শেষ হয়। শিগগিরই শেষ লটের বইগুলো উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে বলে আশা করছি।” প্রাথমিক পর্যায়ে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার কপি বই ছাপানো হয়েছে চলতি বছর।
এনসিটিবির উৎপাদন নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবু নাসের টুকু সোমবার রাতে বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ের সর্বশেষ লট দুই-একদিন আগেই বিতরণের ছাড়পত্র পেয়েছে। এর আগেই ওই বইগুলো ছাপার কাজ শেষ হয়।” এদিকে সোমবার এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসানকে অবসরে যাওয়ার সুবিধার্থে সোমবার বোর্ড থেকে প্রত্যাহার করে দায়িত্বহীন বা ওএসডি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার তার দুইমাস চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বলে এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারিও পিআরএলে যাওয়ার সুবিধার্থে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে। পরে তাকে দুই মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে ফের চেয়ারম্যান পদে ফিরিয়ে আনা হয় বলে নিজেই জানিয়েছিলেন এ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা। তবে অবসর যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য জানতে মঙ্গলবার একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বিআলো/শিলি



