শ্রীমঙ্গলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
শ্রীমঙ্গলে আশিদ্রোন ইউনিয়নের হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন পিটুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে।
চা বাগানের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে এখান থেকে বদলি করতে একটি চক্র তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী এ শিক্ষক।
প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন পিটুর অভিযোগ, তাকে বদলি করতে সম্প্রতি স্কুলটিতে এনজিওর অর্থায়নে কর্মরত এক শিক্ষিকাকে দিয়ে একটি চক্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শ্রীমঙ্গল থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এতে ওই শিক্ষিকা স্কুলের প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ আনেন।
সোমবার সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে অভিযোগকারী শিক্ষিকা জানান, গত ৬ জুলাই বিকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন পিটু তাকে স্কুলে ডেকে নেয়। এ সময় তিনি অপরাজিতা (ছদ্মনাম) নামে অপর এক শিক্ষিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন পিটু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হোসনাবাদ চা বাগানের মালিক পক্ষের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক থাকায় বাগানের ব্যবস্থাপক এমকে পারিয়ান ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে বদিলি করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।
চা পাতা ও বাগানের গাছ চুরিতে বাধা দেওয়ার কয়েকটি ঘটনায় ম্যানেজার পারিয়ান মেয়েটিকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করিয়েছেন। তবে ব্যবস্থাপক এমকে পারিয়ান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরেক শিক্ষিকার মা মুক্তা দেব বলেন, আমরা ৩০ বছর ধরে এই প্রধান শিক্ষককে চিনি। তার আচরণে খারাপ কিছু দেখিনি। স্কুল ব্যবস্থাপনা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম, পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি পরেশ তাঁতি ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকের সঙ্গে কথা বলে শ্লীলতাহানির এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার সত্যতা মেলেনি।
এদিকে মেয়েটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।