সংকটে গার্মেন্ট খাতের নেতৃত্ব দিয়েছি, ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে: সম্মিলিত পরিষদ নেতৃবৃন্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিজিএমইএ’র ডিজিটাল রূপান্তর, সদস্যদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস, নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা, এসএমই কারখানাগুলোর টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির (সোলার) ব্যবহার বাড়ানো ও মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংকে জোরদার করার মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য দিতে চায় বিজিএমইএ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ। সেইসাথে সংকটের সময়ের সুদক্ষ নেতৃত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান জানান এই নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি ও সাবেক সভাপতি কাজী মনিজ্জামান বলেন, আমরা অতীতে যেভাবে গার্মেন্ট শিল্পের সংকটে বিজিএমইএ-কে নেতৃত্ব দিয়েছি, ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এই সংগঠন শুধুমাত্র পোশাক রপ্তানিকারকদের নয়, এ খাত দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড। তিনি বলেন, এ শিল্পের গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে বিজিএমইএ’র নেতৃত্বে দায়িত্ববান, পরীক্ষিত ও কার্যকর লোকের প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৫মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আসন্ন বিজিএমইএ’র আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্মিলিত পরিষদ আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত পরিষদ এর প্যানেল লিডার ও চৈতী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফারুক হাসান, সাবেক সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামসহ প্যানেলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাাজিরুল শোভন ইসলাম।
কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা বারবার প্রমাণ করেছি সংকটে আমরা সামনে থাকি। আমরা কথা নয়, কাজ দিয়ে নেতৃত্ব দেই। সম্মিলিত পরিষদ গত ২০ বছর ধরে বিজিএমইএ সদস্যদের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে আছে।
বিজিএমইএ’র আসন্ন নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বিশ্বব্যাপী চরম প্রতিযোগিতার এই সময়ে বিজিএমইএ-তে প্রয়োজন অভিজ্ঞ নেতৃত্ব ও গভীর বোঝাপড়া। আমরা বিজিএমইএকে এমন এক আধুনিক ও সেবা-কেন্দ্রিক সংগঠনে রূপ দিতে চাই, যেখানে সদস্যদের প্রয়োজনই হবে নীতিনির্ধারণের মূলভিত্তি। তিনি বলেন, আগামি ২১ মে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হবে।
মোহাম্মদ আবুল কালাম আরও বলেন, আমরা গত দুই দশক ধরে বিজিএমইএর সদস্যদের স্বার্থে মাঠে থেকেছি। এবারও আমাদের পরিকল্পনায় থাকবে প্রযুক্তি-নির্ভর বিজিএমইএ, স্মার্ট সার্ভিস, নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, এসএমই কারখানার উন্নয়ন, সোলার এনার্জির বিস্তার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিংকে শক্তিশালী করা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে সম্মিলিত পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের দায়িত্ব হবে পুর্ণ দায়িত্ব নিয়ে বিজিএমইএ সদস্যদের পাশে থাকা, তাদের দাবিকে শক্ত কণ্ঠে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা। বিজিএমইএ নির্বাচনে যারা এবার প্রথম ভোট দেবেন, সেসব তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আমরা ভবিষ্যতের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে চাই। উল্লেখ্য, আগামি ৩১ মে বিজিএমইএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিআলো/তুরাগ



