ঢাকা–৭ আসন: সংগ্রামী নেতাকে ঘিরে জনমতের জোয়ার
১৬ বছরে প্রায় ৭ বছর কারাভোগ, কারাগারে থাকাকালীন মা–বাবার মৃত্যু, দলীয় আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ও বিভিন্ন কর্মসূচির দায়িত্ব পালন।
সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের প্রতিরোধে গুলিবিদ্ধ হয়ে দেশে ও বিদেশে চিকিৎসায় বেঁচে ফেরেন।
বড়ভাই কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।
রাজনৈতিক উত্তেজনার সময় হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হয়েছে; কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, রাজপথের নেতৃত্ব ও জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ঢাকা–৭ আসনের সাধারণ মানুষের আস্থার শীর্ষে উঠে এসেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মোহাম্মদ মনির হোসেন। এলাকাবাসীর দাবি-আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করে নির্বাচিত করতে চান তারা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর নায়ক ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৩ সালে ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন মনির হোসেন। শুরু থেকেই কামরাঙ্গীরচর এলাকার ত্যাগী কর্মী হিসেবে পরিচিত তিনি।
১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন তিনি। একাধিকবার হামলার শিকার ও আহত হওয়ার পাশাপাশি বহুবার গ্রেফতারও হন।
১৯৯৬ সালের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে একাধিকবার মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
২০০৪ সালে চাঁদাবাজ-দস্যুদের হামলায় তাঁর শরীরে সাত রাউন্ড গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয় এবং পরে থাইল্যান্ডে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
২০০৯ থেকে ২০১৪ সালেও বিভিন্ন মামলায় তাঁকে একাধিকবার গ্রেফতার করা হয়। তবুও রাজপথের আন্দোলন থেকে কখনোই সরে দাঁড়াননি তিনি।
কামরাঙ্গীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এলাকায় সড়ক, কালভার্ট, ব্রীজ, বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নকাজ করেন তিনি। এ ছাড়া-গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত, ঝুলন্ত পায়খানা অপসারণ, স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপন, স্বাস্থ্য–স্বচ্ছতা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি, রসুলপুর কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও মাদকবিরোধী অবস্থান। এসব কাজ এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, লালবাগসহ এলাকাজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্পষ্ট প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি- দীর্ঘ ত্যাগ, আদর্শের প্রতি অনুগত অবস্থান এবং উন্নয়নকাজের স্বাক্ষর রেখেছেন মনির হোসেন। তাই তিনিই ঢাকা–৭ আসনের যোগ্য প্রার্থী। অনেক তরুণ ভোটার বলেন, তিনি দুর্দিন–সুখে মানুষের পাশে ছিলেন বলে তাঁকে সংসদে দেখতে চান তারা।
দলের প্রতি আনুগত্য, নীতি ও জাতীয়তাবাদী আদর্শে অটল অবস্থান—সব মিলিয়ে হাজী মোহাম্মদ মনির হোসেন আজ একজন সংগ্রামী ও জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছেন।
বিআলো/এফএইচএস



