সংবাদপত্রকে গঠনমূলক সমালোচনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সরিয়ে দেওয়া কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকির সাংবাদিকদের নিয়ে মন্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ধৃষ্টতা এমন পর্যায়ে গেছে যে, জনসম্মুখে ‘আমরা সব কিনে ফেলেছি’ বলতে দ্বিধাবোধ করে না। মন্ত্রী গতকাল সোমবার পাক্ষিক পত্রিকা ‘বার্তা প্রবাহ’র ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সংবাদপত্রকে গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা দায়িত্বে থাকে তাদের সফলতাও থাকে, ব্যর্থতাও থাকে। যারা দায়িত্বে নেই, তাদের সফলতাও নেই, ব্যর্থতাও নেই।
আমি মনে করি না, আমাদের সরকারের কোনো ভুল বা ব্যর্থতা নেই। বার্তা প্রবাহ’র সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ মনির হোসেন কাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সালাহউদ্দিন মিয়াজী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সাধারণ সম্পাদক পদে জাওহার ইকবাল খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
মোজাম্মেল হক বলেন, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী উপজেলা চেয়ারম্যান সেদিন বলেছেন, বড় বড় সাংবাদিকদের কিনে নিয়েছি, সব থেমে যাবে। তার এমন ধৃষ্টতা। ধৃষ্টতা আছে বলেই তো এত অবৈধ সম্পদ করতে পেরেছেন। এখন ধৃষ্টতা এমন পর্যায়ে গেছে যে, জনসম্মুখে বলতে দ্বিধা বোধ করে না, আমরা সব কিনে ফেলেছি। এই দুর্বৃত্তায়নের যুগে ভালো পথে চলা খুবই কঠিন। আমি আশা করছি, সাংবাদিকরা জাতিকে সঠিক পথ দেখাবে, ভালো পথ দেখাবে।
কলমের শক্তি তলোয়ারের থেকেও বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কলম যোদ্ধারা পাকিস্তানের ২৩ বছরে এ দেশে জনমত সৃষ্টিতে কাজ করেছেন। তারা জাতির দিক নির্দেশক ছিলেন। অনেক কলমযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। এখনো কলমের সেই শক্তি আছে। আর আছে বলেই গত এক মাসে বাঘা বাঘা কর্মকর্তাদের আমলনামা প্রকাশিত হয়েছে। কলমের লেখনী এত শক্তিশালী।
বিআলো/তুরাগ