• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    সবজিতে স্বস্তি, মাছের বাজার চড়া 

     dailybangla 
    13th Jun 2025 12:21 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিশেষ প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি প্রায় শেষ। ছুটির এই শেষবেলায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম থাকলেও পণ্যের দামে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে, বিশেষ করে মাছের বাজারে। সবজির বাজারে অবশ্য মানুষের আনাগোনা কিছুটা বেশি দেখা গেছে। ঈদের আগের তুলনায় সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি মিললেও মাছের দাম অনেকটাই বাড়তি।

    আজ বৃহস্পতিবার রামপুরা, মধুবাগ ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, একদিকে কোরবানির পর মাংসের প্রতি মানুষের অনীহা থাকায় মাছের চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে ঈদের কারণে জেলে পর্যায় থেকেও মাছের জোগান কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে ঈদে বিবাহের অনুষ্ঠান বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, সেখানে মাছ দরকার পড়ে। সেটাও একটি কারণ হতে পারে।

    রামপুরা ও মালিবাগবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রকার ভেদে কেজিতে মাছের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যান্ত। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার ওপরে। সিলভার কার্প ও মৃগেল ২০০-২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

    এছাড়াও শিং ২৮০-৬০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, মলা ৪৫০-৫৫০, কাচ্চি (গুঁড়া মাছ) ৬০০-৬৫০, শোল ৫০০-৭৫০, ট্যাংরা ৪৫০-৭৫০, একটু বড় চিংড়ি ৭৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

    গরিবের মাছ হিসেবে খ্যাত তেলাপিয়া ও পাঙাশেও বাড়তি দামের প্রভাব দেখা গেছে। তেলপিয়া ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর হাইব্রিড কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা কেজি প্রতি।

    বাজারে বিভিন্ন মাছ নিয়ে বিক্রেতারা বসে থাকলেও ক্রেতা খুবই কম। মাছ কিনতে আসা মাহিন নামের একজন বললেন, কোরবানির ঈদের মাংসের স্বাদ এক ঘেয়েমি হয়ে গেছে। স্বাদ পরিবর্তনে মাছ কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু মাছের দাম চড়া মনে হচ্ছে। বেশি দামে মলা মাছ কিনলাম। মাছের সরবরাহও কম মনে হয়েছে।

    এদিকে কোরবানীর ঈদের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অফিস- আদালত বন্ধ। রাজধানীতে ফিরে আসেনি নাড়ীর টানে গ্রামে যাওয়া অধিকাংশ মানুষ। এ কারণে সবজি বাজারে নেই মানুষের তেমন আনা গোনা। সবজি দোকানীরা দোকান সাজিয়ে বসে আছেন। অধিকাংশ সবজির দাম ঈদের আগের তুলনায় কিছুটা কম। কিন্তু সবজি দোকানগুলোতে নেই ক্রেতাদের ভিড়।

    আজ রাজধানীর রামপুরা, বনশ্রী ও মেরাদিয়ার কাচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বনশ্রীর সবজি বিক্রেতা মোস্তাক আহমেদ বলেন, সবজির দোকান সাজিয়ে বসে আছি। কিন্তু কাস্টমার নেই। মানুষ তো ঢাকায় এখনও আসেনি। হোটেল-রেস্তোরাও অধিকাংশ বন্ধ এ কারণে সবজির বেচা-কেনাও কম।

    মেরাদিয়ার কাচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের অনেক সবজি বিক্রেতা এখনও তাদের দোকান খোলেনি। ঈদ করতে তারাও গ্রামের বাড়িতে গেছেন। অনেকেই এখনও গ্রামে আছেন।এই বাজারের সবজি বিক্রেতা সাকিল বলেন, বেগুনসহ কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে মানুষ ঢাকায় ফিরে এলে দাম আবার বাড়বে।

    বনশ্রীর কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন তারিকুল ইসলাম। তিনি একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, গতকাল ফ্যামিলিসহ ঢাকায় এসেছি। তাই সবজি কিনতে আসা। সবজির দাম কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি।

    বিআলো/তুরাগ

    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930