সম্পূরক বৃত্তি তালিকা প্রকাশে ধীরগতি: জবি প্রশাসনকে শিবিরের আল্টিমেটাম
আবুবকর সম্পদ, জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তির তালিকা প্রকাশে অস্বাভাবিক ধীরগতির অভিযোগ তুলেছে জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের দাবি—আবেদন গ্রহণ শেষ হওয়ার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও বৃত্তির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, যা মূলত নভেম্বরেই প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে শিবির নেতারা জানান, গত ১৭ মে ‘যমুনা’ ভবনের সামনে তিনদিনের অবস্থান কর্মসূচির পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ বৃত্তি ঘোষণা করে। পরে ৯ অক্টোবর আবেদন আহ্বান ও ২৭ অক্টোবর আবেদন গ্রহণ শেষ হয়। কিন্তু এতদিনেও তালিকা প্রকাশে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ তাদের।
এদিকে আজ (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় বিশেষ বৃত্তি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করে শিবির দুই দফা দাবি উপস্থাপন করে—
১. ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বৃত্তির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
২. জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির অর্থ পৌঁছে দেওয়া
স্মারকলিপিতে তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, “শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত এলে আমরা ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হবো।”
শিবির আরও অভিযোগ তোলে, জকসু নির্বাচন নির্ধারিত ২৭ নভেম্বর থেকে বারবার পেছানোয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন স্থগিত করা হলেও বাস্তবে তেমন কাজের অগ্রগতি চোখে পড়ে না। এতে একাডেমিক ক্যালেন্ডারও ব্যাহত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে বারবার পরিবর্তন আনা স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে বলেও দাবি করে সংগঠনটি।
এ ছাড়া স্মারকলিপিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণে আট বছরেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। যদিও সম্প্রতি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কিছু কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তবে পুরো প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে নিতে দ্বিতীয় ধাপের কাজও সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান শিবির নেতারা।
ডিসেম্বরের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আহ্বানও জানানো হয়।
বিআলো/ইমরান



