সাবেক এমপি-মন্ত্রীসহ সবার লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, বাধ্যতামূলক অবসর ও চুক্তি নিয়োগ বাতিল হওয়া সচিবদের লাল পাসপোর্ট বা কূটনীতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
২১ আগস্ট, বুধবার পাসপোর্ট অধিদফতরকে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই সপ্তাহ পর এমন সিদ্ধান্ত নিলো অন্তর্বর্তী সরকার।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিকিউরিটি সার্ভিস বিভাগ। সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে এরই মধ্যে দেশের সব ইমিগ্রেশন বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করেছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে (ডিআইপি) এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিআইপি ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে এবং আশা করছি খুব শিগগিরই আদেশ জারি করা হবে।’
সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করেন। এমপিদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা প্রাথমিক পাসপোর্টধারীর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টও বাতিল হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ (কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী) নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই প্রথমে কূটনৈতিক বা লাল পাসপোর্টটি জমা দিতে হবে এবং তারপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।’
জানা যায়, লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে, যাদের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেফতার হয়েছেন এমন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে, আদালতের আদেশ পাওয়ার পরই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিআলো/শিলি