সাভারে সাংবাদিকদের হুমকি ও মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
সঞ্জীব সাহা, সাভার: সাভারে নাশকতা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ও জামায়াত নেতার তথ্য জানতে চাওয়ায় সাংবাদিক ওমর ফারুককে হুমকি ও কারখানা দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিক আকলাকুর রহমানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাভারে কর্মরত সাংবাদিকরা।
আয়োজিত মানববন্ধন থেকে বক্তারা হুমকি ও হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। গত বৃহস্পতিবার সকালে সাভার প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চারিদিকে অন্যায় অত্যাচার ও দখলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাংবাদিকতা আজ হুমকির মুখে। যখনই সাংবাদিকেরা কোন অপরাধের সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় তখন তারা পরিকল্পিত হামলার শিকার হচ্ছেন। এতে সমাজের নানান অসঙ্গতি তুলে ধরা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি না হলে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সাভার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য্য বলেন, আমরা আগেও দেখেছি অনেক সাংবাদিকের উপর বিভিন্ন মামলা-হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেঙ্গল সিরামিক কারখানার মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে কারখানার ভেতর গন্ডগোলের খবর সংগ্রহ করতে গেলে আমাদের সহকর্মী আকাশের উপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। আমরা সাংবাদিকরা তো কারখানার মালিক হতে চাই না। আমরা গিয়েছি তথ্য সংগ্রহ করতে। তথ্য চাওয়াটা কি অপরাধ? আমরা কি অপরাধী? আমি এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাজমুস সাকিব বলেন, আমরা সাংবাদিকরা তো অপরাধী না। আমরা একটি অপরাধ সংগঠিত হলে সেখানে নিউজের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে যাবো এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেখানে গিয়েও যদি আমাদের হামলা ও হুমকির শিকার হতে হয় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। যদি দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।
প্রসঙ্গত, সাভার পৌরসভার ভাগলপুর এলাকায় গত সোমবার (২৬ মে) একটি সিরামিক কারখানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন সাংবাদিক আকলাকুর রহমান আকাশ। এর আগে গত ২১ মে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়ীয়া এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার অভ্যন্তরে জামায়াত নেতার অবস্থান ও কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে তথ্য জানতে চাইলে সাংবাদিক ওমর ফারুককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও পুলিশে দেয়াসহ বিভিন্ন হুমকি দেয় কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক ওমর ফারুক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বিআলো/তুরাগ