সাম্রাজ্য গড়ার মার্কিন স্বপ্ন কি অধরাই রয়ে গেল
আবদুল মান্নান: বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেখেছে তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে কিভাবে প্রায় ৩০০ বছর ধরে লুটপাট ও গণহত্যা চালিয়ে নিজেদের শহর-বন্দর গড়েছে। সেই শোষণ-শাসন থেকে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বাদ যায়নি। তার পরও যুক্তরাষ্ট্র আফসোস করেছে তাদের এই সুযোগ না থাকায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাদের সামনে এই সুযোগ এসে গেল।
হিটলারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত তাদের ইউরোপীয় মিত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধোত্তর সময়ে তারা তাদের মিত্রদের নিজেদের বলয়ে নিয়ে এসে এক নয়া উপনিবেশবাদের সূচনা করে। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই তা এখন পতনের মুখোমুখি।
বিশ্বে সেই প্রাচীন কাল থেকে যত সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে, তা গাছের মতো উপড়ে পড়েনি। তারা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়েছে, ক্রমাগত সংকট তাদের শক্তি এবং আত্মবিশ্বাসকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। এরপর একসময় তার পতন হয়েছে। একসময় বলা হতো, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য অস্ত যায় না। এখন সেই সাম্রাজ্য একটি ইতিহাস। উসমানিয়া সাম্রাজ্য ৭০০ বছর টিকে ছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে সেই সাম্রাজ্যও বর্তমানে তুরস্কের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শক্তিশালী পরাশক্তি হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে তারা পুরো পশ্চিম ইউরোপ তাদের দখলে নিয়েছে। ক্ষমতার লোভ তাদের গ্রাস করে। নিজস্ব কোনো কারণ ছাড়া গণতন্ত্র রক্ষার দোহাই দিয়ে ১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়ে কোরিয়া থেকে হাত গুটিয়ে নেয়।
এরপর ১৯৬১ সালে কিউবায় আক্রমণ চালিয়ে তার নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে দেশটির জাতীয়তাবাদী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর হাতে চরমভাবে অপদস্থ হয়ে সেই দেশ থেকে হাত গুটিয়ে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযান ছিল সিআইএর এক অপরিণামদর্শী কর্মসূচি, যা তারা পরবর্তীকালে একাধিক দেশে নিয়েছে। এরপর জড়ায় ভিয়েতনাম যুদ্ধে, যা প্রায় ২০ বছর চলে। সেই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আণবিক বোমা ছাড়া এমন কোনো অস্ত্র নেই, যা ব্যবহার করেনি। শেষ পর্যন্ত তাদের দেশের মানুষ ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে দেখল কিভাবে তাদের ‘বীর’ সৈনিকরা খালি পায়ে যুদ্ধরত ভিয়েতনামের গেরিলাদের হাতে মার খেয়ে শিয়ালের মতো পালাচ্ছে। এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অপকর্মের দোসর ছিল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন।
সাফল্য এবং ব্যর্থতা উভয় ক্ষেত্রেই অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কৌশল ও ভূ-রাজনীতির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা অপরিহার্য, যা যুক্তরাষ্ট্র এযাবৎ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৬২ সালের বিপজ্জনক কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের একটি কূটনৈতিক সমাধান অর্জন করতে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর অনেক দুর্বলতা ছিল, এর পরও বলতে হয় তাঁর বিচক্ষণ পদক্ষেপের কারণে বিশ্ব আরেকটি বড় যুদ্ধ এড়াতে পেরেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সংকটের শুরু ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যেতে উৎসাহিত করার মধ্য দিয়ে। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদ লাভে উসকানি না দিলে এই সর্বনাশা যুদ্ধ হয়তো শুরুই হতো না। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাদের ইউক্রেননীতির ভুল উপলব্ধি করতে পেরে দেশটিতে মার্কিন সহায়তা হ্রাস করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে দেশটির অর্থনীতি থেকে শুরু করে সব কিছুরই সর্বনাশ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের সমস্যার সমাধান না হতেই শুরু হলো ফিলিস্তিন সংকট। এই সংকট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই সংকটের গোড়ায় আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স আর জাতিসংঘ। এই সংকট বর্তমানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং তা হয়েছে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মদদে। যে হামাসকে নিয়ে এখন এত কথা, সেই হামসাকে তো মার্কিন মদদে ইসরায়েলই সৃষ্টি করেছিল ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে সম্পাদিত শান্তিচুক্তিকে অকার্যকর করার জন্য।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার পরদিন টাইমস অব ইসরায়েল তাদের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় শিরোনাম করেছে, ‘বছরের পর বছর ধরে নেতানিয়াহু হামাসকে সমর্থন করেছেন। এখন এটি নিজেদের ঘরকে তছনছ করে দিচ্ছে।’ সংবাদটির মূল অংশে সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক তাল স্নাইডার লিখেছেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এমন একটি পন্থা নিয়েছিল, যাতে গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে দুর্বল ও নতজানু করা যায়। ইসরায়েলের এই নীতিই হামাসকে উৎসাহিত করেছে।
১৮ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ফিলিস্তিনের অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক হতাহতের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের জন্য তেল আবিবে উড়ে গেলেন। সেই বৈঠক শেষে বাইডেন ঘোষণা করেন, ‘ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষা করার অধিকার আছে এবং তারা যা করেছে (বোমা মেরে নিরীহ মানুষ হত্যা), তা যথার্থ ছিল।’ ফেরার আগে তিনি ইসরায়েলকে বাড়তি অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন। এর পরই শুরু হয় জাতিসংঘে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রতিটি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো পর্ব। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে ১৫ হাজার বোমা বিক্রি করেছে। এর মধ্যে দুই হাজার পাউন্ড ওজনের ‘বাংকার বাস্টার’ রয়েছে, যা বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে গাজার উঁচু ভবনগুলোকে সমতল করে দিতে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। বাইডেনের ভ্রান্ত পররাষ্ট্রনীতি যুক্তরাষ্ট্রকে সারা বিশ্বে নতুন করে একটি সভ্যতাবিনাশী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করে তুলছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে এখন বাইডেন প্রশাসনের ফিলিস্তিন ধ্বংস নীতির বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন শুরু হয়েছে।
শুধু বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতিই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রশাসনেরই ভ্রান্ত পররাষ্ট্রনীতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন নতুন শত্রু সৃষ্টি করেছে। এ ব্যাপারে রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট, কারা ক্ষমতায় থাকল, তা বড় বিষয় না। ২৫ লাখ অধিবাসীর দেশ পশ্চিম আফ্রিকার নাইজার। যুগ যুগ ধরে দেশটির খনিজ সম্পদ লুট করেছে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র। পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ ইউরেনিয়াম এই দেশটিতে প্রচুর পাওয়া যায়। পশ্চিমা শক্তির একটি পছন্দের সরকার দেশটি শাসন করত। দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের প্রায় ডজনখানেক সেনানিবাস ছিল। ২০২২ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। সেনা সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেই ঘোষণা করে, এখন থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে কোনো ইউরেনিয়াম বিক্রি করবে না। দেশটি থেকে সব মার্কিন ও ফরাসি সেনা বহিষ্কার করা হলো। বন্ধ করে দেওয়া হলো তাদের দূতাবাস। সেই সেনানিবাসে এখন রাশিয়ার সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্য গঠনের দুরভিসন্ধির কারণে গত শতাব্দীর শেষে এসে তারা গণতন্ত্র রপ্তানির নামে ধ্বংস করেছে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া আর আফগানিস্তান। হত্যা করেছে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন আর লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার আল গাদ্দাফিকে। দুটি কার্যকর রাষ্ট্রকে অকার্যকর করে দিয়েছে। এর ফলে এসব দেশের তেলসম্পদ লুণ্ঠন সহজ হয়েছে।
আন্তর্জাতিক চাপে হোক বা নিজেদের অভ্যন্তরীণ কারণে হোক, একসময় হয়তো ফিলিস্তিনে মার্কিন মদদে গণহত্যা সাময়িকভাবে বন্ধ হবে। তারপর যুক্তরাষ্ট্র খুঁজতে শুরু করবে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। বিশ্বে শান্তি বিরাজ করলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তিগুলো অশান্তিতে থাকে। কারণ তাদের অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্র হতে পারে চীনের ক্ষুদ্র অংশ তাইওয়ানকে ঘিরে। চীন সব সময় বলে এসেছে, তাইওয়ান তাদের অংশ, যা একটি যৌক্তিক দাবি। যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রচলিত ভ্রান্ত পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতায় একবার স্বীকার করে, তাইওয়ান চীনের অংশ, আবার বলে, তারা তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য সব কিছুই করবে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩০টি সামরিক ও বিমান ঘাঁটি আছে।
এটি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নতুন উপনিবেশ, যদিও ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে নিয়েছিল। তার পরও তারা ঘোষণা করেছে, তাইওয়ানের জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া তাদের নৈতিক দায়িত্ব। আসল কথা হচ্ছে, এই অঞ্চলে তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দ্বীপরাষ্ট্রে মার্কিন সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে চায়। সে কারণেই বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ওপর তাদের এত নজর। ওয়াশিংটন এখন নিজেকে তিনটি জটিল বৈশ্বিক সংকটের মুখোমুখি দেখতে পাচ্ছে। প্রতিটিই তার জন্য অশনিসংকেত। এই সংকট মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও দূরদর্শী কূটনীতি, যা এখন পর্যন্ত তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। দেশটি নানা বিষয়ে অভ্যন্তরীণভাবে বিভাজিত। তারা যখন বিশ্বে তাদের সাম্রাজ্য গড়তে ব্যস্ত ছিল, তখন বিশ্বে তাদের চ্যালেঞ্জ করার মতো একাধিক পরাশক্তির আবির্ভাব হয়েছে; যাদের মধ্যে রাশিয়া-চীন তো আছেই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারত, ব্রাজিল ও তুরস্ক। তাদের হাত ওয়াশিংটনের চেয়ে কম লম্বা নয়। যুক্তরাষ্ট্র এত ফ্রন্ট মোকাবেলা করতে করতে অনেকটা ক্লান্ত। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে তাদের সহজে আর বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়। একসময় সাম্রাজ্য গড়ার জন্য নিক্সন প্রশাসন কত রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানকে হত্যা করেছে, কত সরকার উৎখাত করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি।
নিক্সনের পর প্রতিটি প্রশাসনই তাদের স্বপ্নের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পেছনে অনেক শ্রম, সম্পদ ও কূটচাল ব্যবহার করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি। সফল হয়েছে দেশে দেশে গণহত্যা আর সম্পদের ক্ষতি করতে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের ফলে তারা মিত্রহারা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যত দেশ সম্পর্ক রাখে, তা অনেকটা অর্থনৈতিক স্বার্থে। আর কয়েক মাস পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে যে-ই জয়ী হোক, পরিস্থিতির তেমন কোনো হেরফের হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সম্ভাবনা আছে তাদের আরো মিত্র হারানোর। যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা হচ্ছে সাম্রাজ্য গঠনে তাদের সঙ্গে যে ইউরোপীয় মিত্ররা ছিল, তারা নিজেরাও গত ৫০ বছরে অনেক দুর্বল হয়েছে। এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায় অনেক নতুন অর্থনৈতিক শক্তির উত্থান হয়েছে। শুধু অস্ত্র দিয়ে যে যুদ্ধে জেতা যায় না, তা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে আর কারোর ভালো জানার কথা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এখন উপলব্ধি হওয়া উচিত, তাদের সাম্রাজ্য গঠনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। তাদের আধিপত্যবাদের যুগও এখন ইতিহাস। এখন সময় নিজেদের সামরিক কৌশল পুনর্মূল্যায়ন করে বিশ্বশান্তি সৃষ্টি ও তা বজায় রাখার। এতে সব পক্ষেরই লাভ অনেক বেশি।
লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক
বিআলো/শিলি