সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে শাশুড়ি হত্যা মামলায় পুত্রবধূর পর পরকীয়া প্রেমিক সবুজকে গ্রেপ্তার করেছে সিংগাইর থানা পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে সবুজ।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগরের কাফরুল থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মূল আসামি সবুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার শ্যামনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, রুনাকে প্রেমের জালে জড়াতে সবুজ কাল্পনিক আধ্যাত্মিক হুজুর (অদৃশ্য) এর রূপ ধরাসহ বিভিন্ন কৌশল করে এবং হুজুরের বেশ নিয়ে সবুজ নিজেই রুনার শাশুড়িকে হত্যা করে গুম করার উদ্দেশ্যে বাক্সের ভেতর লাশ লুকিয়ে রাখে। উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর (রবিবার) সিংগাইর পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গী নিজ বাড়িতে পুত্রবধূর হাতে খুন হন শাশুড়ি হায়াতুন নেছা। হায়াতুন নেছাকে হত্যার পর রাখা হয়েছিল সিন্ধুকে ভরে। ওই ঘটনার দিনই পুত্রবধূ রুনা বেগম ও তার মাকে গ্রেপ্তার করে সিঙ্গাইর থানা পুলিশ। পরে পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে রুনা বেগম পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে তার শাশুড়িকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরই সূত্র ধরে ১৮ দিন পর ওই পরকীয়া প্রেমিককে মিরপুর ১৩ নম্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিআলো/তুরাগ