সুপার স্টার গ্রুপের কর্মীদের জন্য ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট সাপোর্ট পলিসির উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপারস্টার গ্রুপের (এসএসজি) সব কর্মীকে বিনা মূল্যে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই লক্ষ্যে কম্পানিটি তাদের কর্মীদের জন্য চালু করতে যাচ্ছে ‘ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট সাপোর্ট পলিসি’। যা করপোরেট পরিমণ্ডলে একটি অসাধারণ ও অনন্য উদ্যোগ। এই ভিন্নধর্মী পদক্ষেপটি পরিচালিত হবে মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশনের অধীনে, যা কম্পানির সিএসআর কার্যক্রম আব্দুর রহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্টের একটি প্রকল্প।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁও এসএসজি সেন্টারে সুপার স্টারগ্রুপের কর্মীদের জন্য ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট সাপোর্ট পলিসির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রুপটির চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হারুন অর রশিদ, এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. তোফায়েল আহমেদ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখ সাদী আবদুল মজিদ, সিএফও মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ডিরেক্টর (হিউম্যান রিসোর্স) খন্দোকার গোলাম আজমসহ এসএসজি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই উদ্যোগ কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সহমর্মী কর্মপরিবেশ সৃষ্টির প্রতি কম্পানির দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। এর মাধ্যমে সুপার স্টার গ্রুপ ক্যান্সার আক্রান্ত কর্মীদের পাশে সার্বিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়াবে এবং নিশ্চিত করবে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য যথোপযুক্ত কর্ম পরিবেশ।
অনুষ্ঠানে এমডি মো. হারুন অর রশিদ এসএসজির সামগ্রিক সিএসআর কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সুপার স্টার গ্রুপে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মী কাজ করছেন। ক্যান্সার একমাত্র রোগ কোনো পরিবারের একজনের হলে সেই পরিবারটি অন্ধকারে পরে যায়। তাই আমাদের কর্মীদের মধ্যে কেউ যদি ক্যান্সার আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে সবধরণের চিকিৎসা আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কোনো কর্মী যদি মারা যায় তাহলে তার পরিবারকে পরবর্তী তিন বছর পর্যন্ত আর্থিক সাপোর্ট দেওয়া হবে। এমনকি তার পরিবারে যোগ্য কোনো ছেলে-মেয়ে থাকলে তাদেরকে চাকরিও ব্যবস্থা করা হবে।’
ডিরেক্টর (হিউম্যান রিসোর্স) খন্দকার গোলাম আজম তাঁর বক্তব্যে ‘মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন’ এবং এর উদ্যোগসমূহের উপর সামগ্রিক তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একটা প্রচারণা প্রত্যাশা করছি, যা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে, পাশাপাশি অন্যান্য করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত করবে।’
বিআলো/তুরাগ