সোনাইমুড়ীতে ব্যবসায়ী হত্যা: মামলার ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ১
সাজ্জাদুল ইসলাম, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী): নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ১২ ঘণ্টার মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে দিদার (৪০)–কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
নিহতের স্ত্রী জোবেদা খাতুন (৫২) শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে সোনাইমুড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০–১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এজাহারে উল্লেখিতরা হলেন:
আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আফুলশী গ্রামের মো. বেলাল হোসেন ওরফে সুদি নান্টু, তার মেয়ে মুন্নী আক্তার ও স্মৃতি আক্তার, একই গ্রামের মো. জাহিদ, মো. পিয়াস, শহিদুল ইসলাম, মো. সৈকত, মো. রাকিব ওরফে সাব্বির, মো. মামুন; নারায়নভট্ট গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মো. ইসমাইল হোসেন দিদার; পাটোয়ারী বাড়ির বাবু ওরফে কাবিলা এবং মুন্সী কাজী বাড়ির লিমন।
ঘটনার বিবরণ
টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জেরে গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রধান আসামি সুদি নান্টুসহ অভিযুক্তরা আব্দুর রহিমকে আমিশাপাড়া বাজারের মিতালী বেকারি থেকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে এনে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে তাকে একটি তুলার দোকানে আটকে রেখে অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিতে বাধ্য করা হয়।
গুরুতর আহত রহিম সেখান থেকে বের হয়ে বজরা দীঘিরজান মসজিদে আশ্রয় নিলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে স্ত্রী জোবেদা খাতুন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বজরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে শুক্রবার রাত ২টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দেয়। শনিবার বিকালে আমিশাপাড়া বাজারে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
ওসি মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, পেনাল কোডের ১৪৩/৩৪২/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩০২/৩৮৬/৩৪ ধারায় মামলা (নং-২৪) রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন দিদারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিআলো/ইমরান



