সোনারগাঁয়ে আলোচিত ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন মামুনুল হক
সামির সরকার সবুজ, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় আলোচিত ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম এই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, আমরা দীর্ঘদিন বলে আসছি মাওলানা মামুনুল হককে গত সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমরা আদালাতের রায়ে সন্তুষ্ট।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে ৫০১ নং রুমে ওই ২য় স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ- যুবলীগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেন।
ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় হাজির হয়ে ওই নারী বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামুনুল হক বরাবরই দাবী করে আসছেন ঘটনাটি সাজানো। ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
বিআলো/তুরাগ