স্বাস্থ্য বিভাগের সিএইচসিপিরা চাই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, রাজনৈতিক বলি নয়: জাহিদুল ইসলাম
মনিরুজ্জামান মনির: কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক চাপের শিকার। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়া হয়নি, কারণ ক্লিনিকে বিরোধী দলের ঘনিষ্ঠ কর্মীরাও কাজ করতেন। সরকারের এই পদক্ষেপে ১৪ বছর ধরে সিএইচসিপিরা একই বেতনে কাজ করেছেন, যা তাদের মনোবল ভেঙেছে এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দুর্বল করেছে।
সরকারি কর্মচারীর আসল পরিচয় হলো রাষ্ট্রের সেবক হিসেবে জনগণের কল্যাণে কাজ করা। কিন্তু সিএইচসিপিদের ক্ষেত্রে নিয়োগ ও রাজস্বকরণে রাজনৈতিক পরিচয় প্রাধান্য পেয়েছে। পূর্ববর্তী সরকার অভিযোগ করেছিল ক্লিনিকে বিরোধী দলের লোক আছে; বর্তমান সরকার অভিযোগ করছে অধিকাংশ কর্মী আওয়ামী লীগপন্থী। এই দ্বৈতচরিত্র মূল সমস্যার পরিচয় দিচ্ছে—নিয়োগ প্রক্রিয়ার রাজনৈতিকীকরণ, যার শিকার হচ্ছেন মাঠপর্যায়ের নিষ্ঠাবান কর্মীরা।
সিএইচসিপিরা দাবি করছেন, তাদের চাকরির প্রবিধান অবিলম্বে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হোক। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী কর্মচারীর আনুগত্য রাষ্ট্রের প্রতি, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি নয়। বর্তমানে এদের ‘রাজনৈতিক ট্যাগ’ লাগিয়ে বঞ্চিত রাখা হয়েছে, যা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সিএইচসিপিদের সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা অপরিহার্য। রাষ্ট্রের উচিত পদটিকে দলীয় সীমারেখার বাইরে রেখে দ্রুত প্রবিধান প্রণয়ন করা এবং সকল সরকারি সুবিধা নিশ্চিত করা। হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন ও সিএইচসিপিদের ন্যায্য দাবি পূরণের মাধ্যমে তাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটি কেবল স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনমান উন্নত করবে না, বরং দেশের প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মানও উন্নত করবে।
বিআলো/ইমরান



