হজে যাওয়ার খরচ কমল, প্যাকেজ ঘোষণা ধর্ম উপদেষ্টার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার খরচ কমিয়ে ২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছর সরকারি ব্যবস্থাপনার সাধারণ হজ প্যাকেজ-১-এ খরচ পড়বে চার লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। আর সাধারণ হজ প্যাকেজ-২-এ খরচ পড়বে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এছাড়া বেসরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজ নির্ধারিত হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এছাড়াও সাধারণ হজ প্যাকেজ গ্রহণ করে এজেন্সি একটি অতিরিক্ত বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।
উপদেষ্টা আজ বুধবার সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে উপদেষ্টা এ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
নিবন্ধন ও আনুষঙ্গিকঃ উপদেষ্টা জানান, আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু হবে। ২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হজের প্রাথমিক নিবন্ধন চলবে। এবার নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না। আগামী বছর হজে যেতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হচ্ছে। এবার বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। বিপরীতে প্রায় দুই মাসে নয় হাজার ৩১৫ জন হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন।
উপদেষ্টার ঘোষণা অনুসারে, সরকারি প্যাকেজ-১-এ হজের খরচ কমেছে এক লাখ নয় হাজার ১৪৫ টাকা। আর সরকারি প্যাকেজ-২-এ কমেছে ১১ হাজার ৭০৭ টাকা। মক্কায় হারাম শরিফের বহিঃচত্বর থেকে আবাসনের দূরত্ব বাড়ানোর ফলে খরচ কমে গেছে জানিয়ে উপদেষ্টা জানান, আগে ছিল ২ কিলোমিটার। এখন ৩ কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন করা হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকারি দু’টি প্যাকেজেই প্রত্যেক হজযাত্রীকে খাবার বাবদ কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকার সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল এবং কুরবানি বাবদ ৭৫০ সৌদি রিয়াল আবশ্যিকভাবে সঙ্গে নিতে হবে। দু’টি প্যাকেজে অ্যাটাচড বাথসহ মক্কা ও মদিনায় বাড়ি বা হোটেলের প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসন ব্যবস্থা থাকবে। বাড়ি-হোটেল কক্ষে-ফ্লোরে রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা থাকবে। দুই প্যাকেজে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। ৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য একজন হজ গাইডের ব্যবস্থা করা হবে।
প্যাকেজ-১-এর সুবিধাঃ উপদেষ্টা জানান, মক্কায় হারাম শরিফের বহিঃচত্বর হতে তিন কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন। হারাম শরিফে যাতায়াতে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। মদিনায় মসজিদে নববি হতে সর্বোচ্চ দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন হবে।
প্যাকেজ-২-এর সুবিধাঃ উপদেষ্টা বলেন, মক্কায় হারাম শরিফের বহিঃচত্বর থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন হবে। মদিনায় মার্কাজিয়া (সেন্ট্রাল এরিয়া) এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। মিনায় ইয়োলো জোনে (জোন-২) তাঁবুর অবস্থান এবং মিনা-আরাফায় আপগ্রেডেড ‘ডি’ ক্যাটাগরির সার্ভিস সুবিধা পাবেন এ প্যাকেজের হজযাত্রীরা।
বেসরকারি প্যাকেজঃ ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা জানান, মক্কায় হারাম শরিফের বহিঃচত্বর থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন। হারাম শরিফে যাতায়াতে বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
মিনা এবং আরাফায় মোয়াল্লেম খাবার পরিবেশন করবেন। মক্কা-মিনা-আরাফা-মুজদালিফা যাতায়াতের জন্য ট্রেন-বাস (প্রতি ১০০ জনে একটি বাস অথবা ৫০ জনের ডাবল ট্রিপ) ব্যবস্থা করতে হবে। মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। ৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য একজন হজ গাইডের ব্যবস্থা করা হবে।
বিআলো/তুরাগ