হাজতে আ. লীগ নেতাকে অন্য আসামির মারধর
বিআলো ডেস্ক: বগুড়ার আদালতের হাজতখানায় তুচ্ছ ঘটনা থেকে শুরু হওয়া বিরোধের জেরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক মারধরের শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের হাজতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন।
পরিদর্শক মোসাদ্দেক জানান, সকালে শফিককে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। হাজিরা শেষে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হলে সেখানে থাকা কয়েকজন আসামির সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।
দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শফিকের হাতে থাকা পানির বোতল থেকে অনিচ্ছাকৃতভাবে পানি পড়ে হত্যা মামলার আসামি সাগরের গায়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাগর, তার সহযোগী জলিল এবং আরও দু’জন মিলে শফিককে মারধর করেন।
পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শফিককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়।
তবে ভিন্নভাবে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন শফিক। আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেনের নির্দেশেই আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমি বাথরুমে আশ্রয় নিলেও সেখানেও হামলা চলে। পুলিশ হেফাজতে থেকেও আমি নিরাপত্তা পাইনি। হামলার পর চিকিৎসা না দিয়ে আমাকে দ্রুত কারাগারে পাঠানো হয়।”
তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনায় তিনি মামলা করবেন।
অন্যদিকে, শফিকের অভিযোগ অস্বীকার করে পরিদর্শক মোসাদ্দেক বলেন, “ঘটনার পরপরই হাজতখানায় গিয়ে শফিকের সঙ্গে কথা বলি এবং বিষয়টি মুখ্য বিচারিক হাকিমকে অবহিত করি। বিচারক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”
বিআলো/শিলি



