হামাস প্রধানের হত্যাকাণ্ডে বদলা জোরালো হবে: ইরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ডে ওই অঞ্চলে প্রতিরোধ আরও জোরালো হবে বলেছে জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধিদল।
হামাসপ্রধানকে হত্যা করা হয়েছে—ইসরায়েলের এমন দাবির কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য আসে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইরানের প্রতিনিধিদল বলেছে, ‘প্রতিরোধ শক্তিশালী হবে। তিনি (সিনওয়ার) যুবক ও শিশুদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকবেন, যারা তাঁর দেখানো পথ ধরে ফিলিস্তিনকে মুক্তির দিকে নিয়ে যাবে। যত দিন দখল ও আগ্রাসন চলবে, তত দিন প্রতিরোধও জারি থাকবে। শহীদেরা অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে থাকবেন।’
১৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৮২৮তম ব্রিগেডের অভিযানে দক্ষিণ গাজায় তিনজন নিহত হন। ওই তিনজনের মরদেহের পরিচয় শনাক্তের পর ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি হামাস। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎসও সিনওয়ারের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর পর ইরান বলেছে, এই মৃত্যু ফিলিস্তিনের মুক্তির লড়াইকে আরও শক্তিশালী করবে। ইরানের জাতিসংঘ মিশন এক বিবৃতিতে সিনওয়ারের শেষ মুহূর্তগুলোকে ইরাকের সাবেক নেতা সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে তুলনা করেছে। ২০০৩ সালে মার্কিন বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার সময় সাদ্দাম তাদের কাছে ‘জীবনভিক্ষা চেয়েছিলেন।’ কিন্তু সিনওয়ারকে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্রে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মুসলিমরা শহীদ সিনওয়ারকে খোলা ময়দানে যুদ্ধের পোশাকে, শত্রুর সম্মুখীন অবস্থায় দেখেছে যা প্রতিরোধের চেতনাকে আরও শক্তিশালী করবে।’ বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী প্রজন্ম ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য সিনওয়ারের পথ অনুসরণ করবে, তাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন তিনি। যতদিন দখলদারিত্ব ও আগ্রাসন থাকবে, ততদিন প্রতিরোধ আন্দোলনও থাকবে, কারণ শহীদরা চিরজীবন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকেন।
ইরানের এই বিবৃতি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থনকে পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং দাবি করেছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যু প্রতিরোধের অদম্য চেতনাকে আরও জাগ্রত করবে।
গত আগস্টে তেহরানে গুপ্তহত্যায় ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর হামাসের রাজনৈতিক শাখার নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গত বছরের ৭ অক্টোবর চালানো নজিরবিহীন হামলার মূল কারিগর ছিলেন বলে মনে করা হয়।
বিআলো/শিলি