৬ বছর পর জম্মু-কাশ্মীর থেকে রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৬ বছর পর অবশেষে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হলো। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
১৩ অক্টোবর, রবিবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯-এর অনুচ্ছেদ ৭৩ অনুসারে এবং ভারতীয় সংবিধানের ২৩৯ এবং ২৩৯এ অনুচ্ছেদ অনুসারে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর যে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল, জরুরি ভিত্তিতে তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েছিল মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। ২০১৮ সালে দুই দলের জোট ভেঙে যায়। ফলে পতন হয় সরকারের। ২০১৮ সালের ১৯ জুন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বা অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। একটি জম্মু ও কাশ্মীর, অন্যটি লাদাখ।
১০ বছর পরে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায় এনসি-কংগ্রেস জোট। এনসি বিধায়কেরা সর্বসম্মতিক্রমে পরিষদীয় দলের নেতা হিসাবে ওমরকে নির্বাচিত করেন। তার পরেই গত শুক্রবার নিজের দলের ৪২ জন বিধায়ক, ছয় কংগ্রেস বিধায়ক, এক সিপিএম, এক আপ এবং কয়েক জন নির্দল বিধায়কের স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি নিয়ে উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হার সঙ্গে দেখা করেন এবং সরকার গঠনের দাবি জানান তিনি।
তবে কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচিত সরকারের ভূমিকা কতটা থাকবে, প্রশাসনে উপরাজ্যপাল বা কেন্দ্রের ভূমিকাই বা কী হবে, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। যদিও জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, নতুন সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেবে। সূত্র: পার্সটুডে
বিআলো/শিলি