নিজস্ব প্রতিবেদক: অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা পুনরায় চালু ও দীর্ঘদিনের বকেয়া পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সকল বকেয়া বিল পরিশোধ করার আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন ও আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সাল থেকে সারা দেশের গ্রামীণ এলাকায় ৫৬৭টি পয়েন্টের মাধ্যমে ভাতা ভোগী, প্রবাসী, কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছিলেন এজেন্টরা। কিন্তু গত ২০ জুন ২০২৫ তারিখে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এর ফলে প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক, ৫ লাখ অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহারকারী এবং বিপুল সংখ্যক রেমিট্যান্স গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন। পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৫৬৭ জন এজেন্ট মালিক ও তাদের অধীনে কর্মরত প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী, যাদের সম্মিলিত বিনিয়োগ কয়েক শত কোটি টাকা।

সাত্তার চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ মাস ধরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো কমিশন বা হিসাব প্রদান না করে এজেন্টদের বকেয়া বিল আটকে রেখেছে। একজন এজেন্ট মালিক জানান, ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, “অগ্রণী ব্যাংকের এমন আচরণ শুধু আমাদের আর্থিক ক্ষতিই ডেকে আনেনি, বরং সারাদেশে ব্যাংকিং সেবার প্রবাহে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।”

এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

মানববন্ধনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনসহ প্রায় ২০০ জন এজেন্ট ব্যাংক মালিক উপস্থিত ছিলেন।

বিআলো/তুরাগ