অনলাইন নজরদারি এড়ানোর পাঁচ কৌশল
বিআলো ডেস্ক: ডিজিটাল সময়ে ব্যক্তিগত গোপনতা রক্ষা করা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি জটিল হয়ে উঠেছে। শুধু একটি টুল ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না; বরং একাধিক স্তরে শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয়। এনক্রিপশন, ডেটা কম প্রকাশ করা এবং নেটওয়ার্কে পরিচয় ছদ্মায়িত রাখার মতো পদক্ষেপ ছাড়া পূর্ণ গোপনতা সম্ভব নয়।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এখন গোপনীয়তাকে কৌশলগত দৃষ্টিতে দেখা প্রয়োজন; অনুমান নয়, পরিকল্পিত ব্যবস্থা হলো আসল নিরাপত্তা।
অনলাইনে নিজেকে গোপন রাখার ৫ উপায়:
* জিরো-লগ নীতির ভিপিএন বেছে নিন-
জিরো-লগ ভিপিএন আপনার প্রকৃত আইপি আড়াল করে এবং পুরো ট্রাফিক এনক্রিপ্ট করে রাখে। এতে বিজ্ঞাপনদাতা, ওয়েবসাইট কিংবা আইএসপিরা সহজে আপনার অনলাইন আচরণ ট্র্যাক করতে পারে না। ভিপিএন সরবরাহকারী ডেটা সংরক্ষণ না করলে প্রয়োজনে শেয়ার করার মতো তথ্যও তাদের কাছে থাকে না; যা প্রকৃত গোপনীয়তার মূল শক্তি।
* কাজের ধরন অনুযায়ী আলাদা নেটওয়ার্ক ও পরিচয় ব্যবহার করুন-
সব কার্যক্রম একই ডিভাইস বা ওয়াই-ফাই থেকে চালালে একটি স্পষ্ট প্যাটার্ন তৈরি হয়, যা ট্র্যাক করা সহজ। ব্যাংকিং, গবেষণা বা ব্যক্তিগত ব্রাউজিংয়ের মতো সংবেদনশীল কাজ আলাদা নেটওয়ার্কে করুন। প্রয়োজনে আলাদা ডিভাইসও ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার কার্যক্রম ও বাস্তব পরিচয়ের মধ্যে সরাসরি সংযোগ কমে যায়।
* ট্র্যাকার নিয়ন্ত্রণ করুন এবং অ্যাকাউন্ট-আইডেন্টিটি আলাদা রাখুন-
কুকি, পিক্সেল ও ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীর আচরণগত তথ্য সংগ্রহ করে। নিয়মিত কুকি মুছুন, ট্র্যাকিং ব্লকার সক্রিয় রাখুন এবং গোপনীয়তা কেন্দ্রিক সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করুন। সব সাইটে এক ইমেইল বা ইউজারনেম দেওয়ার অভ্যাস পরিহার করুন, এতে দ্রুত পরিচয় প্রকাশ পেতে পারে।
* বার্তা ও ফাইল এনক্রিপ্ট করে রাখুন-
এনক্রিপশন তথ্যকে এমন রূপ দেয় যা ডিকোড ছাড়া কেউ বুঝতে পারে না। তাই বার্তা বা ফাইল ভুল হাতে গেলেও তা ব্যবহারযোগ্য থাকে না। ব্যক্তিগত আলাপ, গুরুত্বপূর্ণ নথি বা সংবেদনশীল ফাইল- সবকিছুর ক্ষেত্রে এনক্রিপশন জরুরি। এসব কনটেন্টের অটো ক্লাউড ব্যাকআপ বন্ধ রাখাটাও নিরাপদ।
* গোপনীয়তা রক্ষাকে দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত করুন-
অনলাইন সুরক্ষা একবারের কাজ নয়, এটি নিয়মিত অনুশীলন। অ্যাপ পারমিশন পরীক্ষা, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরানো, পাসওয়ার্ড হালনাগাদ করা, ব্যক্তিগত তথ্য কম শেয়ার করা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয় অ্যাকাউন্ট আলাদা রাখা- এই ছোট অভ্যাসগুলো দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী সুরক্ষা গড়ে তোলে। ফলে অনলাইনে আপনার দৃশ্যমানতা কমে এবং সাইবার অপরাধীদের পক্ষে টার্গেট করা কঠিন হয়ে যায়।
বিআলো/শিলি



