অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছেন কাস্টমস কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক: কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, রংপুর-এর উপ-কমিশনার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে সরকারি চাকরি নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলে ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মহিউদ্দিন। এছাড়া তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতিও ছিলেন। রাজনৈতিক পদ-পদবি ব্যবহার করে মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে কাস্টমস ক্যাডারে যোগদান করেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ও সিদ্দিকী নাজমুল আলমের আমলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও প্রশাসনিক কাজকর্মে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেন কাস্টমসের কর্মকর্তাদের একটি অংশ।
চাকরির সুযোগ ব্যবহার করে তিনি নিজ এলাকায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করেন এবং কয়েক বিঘা জমি ক্রয় করেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে কয়েক কোটি টাকা মূল্যে একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন, যেখানে সুইমিং পুল সুবিধাও রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে ডাচ বাংলা, অগ্রণী, বিকাশসহ একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তার ব্যক্তিগত গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-৪৭১৩০২। তার ও পরিবারের নামে বেনামে গাজীপুরে ৯.২ শতাংশ জমি ক্রয় করার অভিযোগ রয়েছে। তার ঢাকার আবাসিক ফ্লাটের ডিপিডিসি আইডি নম্বর ০৯০১১৮৭৯৩৭ বলে জানা যায়। অভিযোগ রয়েছে, নিজের রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ছোট ভাই নুরুদ্দীনকে বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি পাইয়ে দেন তিনি। কাস্টমস দপ্তরের ভেতরেও তিনি ক্ষমতাধর নেতা পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দাপটের সঙ্গে চলেছেন বলে সহকর্মীদের বক্তব্য। কাস্টমসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সব অভিযোগ যাচাই সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাস্টমস কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহিউদ্দিনের পিতার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া-এ অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সকল কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। আমার চাকরির তেরো-চৌদ্দ বছর পর হঠাৎ এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন তা বোধগম্য নয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের যাচাই বাছাই শেষ করেই আমি চাকরিতে যোগদান করেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার অভিযোগ রয়েছে এ প্রশ্ন শুনেই তিনি কোনো বক্তব্য না দিয়ে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বিআলো/তুরাগ



