অন্তর্বর্তী সরকার সবাইকে হতাশ করেছে : ভিপি সাদিক কায়েম
এইচ আর হীরা, বরিশাল ব্যুরো: অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে সংঘটিত কোনো হত্যার বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি— যা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনআস্থায় ধাক্কা দিয়েছে।”
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত “এক শিক্ষার্থী এক কুরআন” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি দুই হাজার শিক্ষার্থীর হাতে পবিত্র কুরআন শরিফ তুলে দেন।
ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সংঘটিত গুম, খুন, নির্যাতন এবং জুলাইয়ের গণহত্যার বিচার স্বাধীন বাংলাদেশে হতেই হবে। যে কাঠামোর মাধ্যমে স্বৈরশাসন কায়েম ছিল, সেই কাঠামো সংস্কার না হলে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”
তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি বিএম কলেজে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, “অতীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছিল, তা জনগণ এখন প্রত্যাখ্যান করেছে।”
বিএনপির ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ঐকমত্য কমিশনের মূল প্রস্তাবনাগুলোতে বিএনপির দ্বিমত হতাশাজনক। ফ্যাসিবাদী উপাদানগুলো রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।”
অনুষ্ঠান আয়োজকরা জানান, “এক শিক্ষার্থী এক কুরআন” প্রকল্পের লক্ষ্য হলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে আল কুরআনের একটি কপি পৌঁছে দেওয়া, যা নৈতিক জাগরণ ও আত্মশুদ্ধির একটি আন্তরিক প্রচেষ্টা।
কুরআন গ্রহণকারী শিক্ষার্থী রাবেয়া বসরী রুহিন বলেন, “আজ কুরআন শরিফ হাতে পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যস্ত জীবনের মাঝেও আল্লাহর বাণী জানার ও অনুসরণের সুযোগ পাই— এই দোয়া করি। আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমিনুল ইসলাম। আয়োজক কমিটির সদস্য মোকাব্বেল শেখ জানান, প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর হাতে কুরআন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং আরও পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে আগামী ধাপে প্রদান করা হবে।
দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভিপি সাদিক কায়েম বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং পরে সদর উপজেলার চরমোনাই মাদ্রাসা ও পীরের দরবার পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি চরমোনাইয়ের প্রথম পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাকের কবর জিয়ারত করেন।
বিআলো/তুরাগ



