অমানবিক ভাবে চাকুরিচ্যুত সবাইকে চাকরি পুনর্বহালের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন বহির্ভূত ও অমানবিক ভাবে চাকুরিচ্যুত সবাইকে চাকরি পুনর্বহালসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৫৪৭ জন স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তারা। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৬৪ জেলার বিভিন্ন শাখায় কর্মরত ছিলাম। গত ২০ জুলাই ২০২৫ অরিষে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সারাদেশের বিভিন্ন শাখা থেকে আমাদের ৫৪৭ জন কর্মকর্তাকে অফিসিয়াল ইমেইলে একটা পত্র দিয়ে একসঙ্গে চাকরিচ্যুত করেছে।
আমাদের বেশিরভাগ কর্মকর্তার চাকরির বয়স ৩ থেকে ৪ বছর। চাকরিকালীন আমাদের উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করে এসেছি। এই সময়ে ব্যক্তিগত আচরণ, দায়িত্ব বা কর্তব্যে অবহেলা ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের বিরুদ্ধে লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ নেই। শাখা বাবস্থাপকরাও আমাদের কাজে খুশি ছিলেন।
চাকরিচ্যুতির জন্য আদৌ কোন যৌক্তিক কারণ না থাকা সত্ত্বেও, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা অজুহাতে আমাদের অপসারণ করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমাদের মূল্যায়ন টেস্টকে (Assessment Test) চাকরিচ্যুতির কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে এবং আমাদের পদের বিপরীতে নতুন নিয়োগের অশুভ প্রচেষ্টা চলছে।
আমাদের অপসারণ উপর্যুক্ত প্রবিধি ও নীতি অনুসারে সম্পূর্ণ বেআইনী এবং এই চাকরিচ্যুতির ফলে আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে চরম আর্থিক সংকট ও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। অধিকন্তু আমাদের অনেকেরই চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম করায় বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। যার ফলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ইতোমধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে পুনর্বহালসহ নিম্নোক্ত ৭ দফা দাবি পেশ করছি।
আমাদের দাবি গুলো হলো : সকল চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের তাদের স্বপদে এর স্বশাখায় বহাল করতে হবে। সকলের ইনক্রিমেন্ট বহাল রাখতে হবে। প্রবেশন পিরিয়ডে চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে যথাসময়ে কনফার্মেশন করতে হবে। চাকরিচ্যুত করার উদ্দেশে কোন পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। সবাইকে যথাসময়ে প্রমোশনের জন্য তালিকাভুক্ত করতে হবে। সবাইকে অতীতের মত সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে। ভবিষ্যতে কর্মকর্তাদের অযথা হয়রানি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শফিকুল ইসলাম, আরিফা খাতুন, মো. ফরহাদ হোসেন মোস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেক হোসেনসহ অন্যান্য চাকুরিচ্যুত কর্মকর্তারা।
বিআলো/এফএইচএস