আইসিডিডিআর,বি’র বিশেষ প্রকল্পে পাশে দাঁড়ালো কমিউনিটি ব্যাংক
নারী পুলিশদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ
অর্থনৈতিক ডেস্ক: নারী পুলিশ সদস্যদের সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও এইচপিভি টিকা প্রদানের উদ্যোগে আইসিডিডিআর,বি-কে সহায়তা দিয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
‘নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা প্রদান, সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন’ শীর্ষক বিশেষ প্রকল্পে এ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। উদ্যোগটির মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এএফপিবি) ১৮৮ জন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিশোরীদের জন্য চলমান কর্মসূচির বাইরে কর্মজীবী নারীদের টিকা প্রদানের মাধ্যমে এই উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যতা পূরণ করবে।
আইসিডিডিআর,বি’র সহকারী বিজ্ঞানী ডা. রিজওয়ানা খানের নেতৃত্বে সাত ধাপে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এতে নৈতিক অনুমোদন, প্রাথমিক জরিপ, সচেতনতা বৃদ্ধি, টিকা প্রদান, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একইসঙ্গে নারীদের মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ও সামগ্রিক সুস্থতা নিয়েও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
এ উপলক্ষে আইসিডিডিআর,বি-তে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতীকী চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বিপিএম, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত, আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, “নারী পুলিশ সদস্যরা দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। এই উদ্যোগ সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কর্মসূচির একটি দৃষ্টান্ত হবে।”
কমিউনিটি ব্যাংকের এমডি (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই উদ্যোগে আইসিডিডিআর,বি’র পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। সামনের দিনে আরও অর্থবহ স্বাস্থ্য উদ্যোগে সহযোগিতা করে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে চাই।”
আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ বলেন, “কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা জাতীয় নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে বাংলাদেশে আরও বেশি নারী সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা পাবেন।”
বিআলো/তুরাগই