আশুলিয়ায় পুলিশে-শ্রমিক সংঘর্ষে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৫
বিআলো প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শ্রমিক নিহত এবং ৪ শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো এলাকার মণ্ডল গ্রুপের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই শ্রমিকের নাম কাউসার হোসেন খান, তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ম্যাঙ্গোটেক্স কারখানার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী।
এ ব্যাপারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি অফিসার ইউসুফ আলী জানান, আমাদের হাসপাতালে তিনজন গুলিবিদ্ধ শ্রমিককে আনা হলে তাদের মধ্যে একজন মারা যান, বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে।
আহতরা হলেন, আশুলিয়ার ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিক হাবীব, ন্যাচারাল ইন্ডিগো লিমিটেডের মো. নাজমুল হোসেন, মো. ওবায়দুল মোল্লা। এ ছাড়া আহত হয়েছেন রাসেল মিয়া ও নয়ন নামে দুজন শ্রমিক।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, আজ সকালে মণ্ডল গ্রুপের শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আলোচনা সভা হয়। আলোচনায় সমঝোতা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকলে আশপাশের অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় শ্রমিকরা র্যাব ও পুলিশের কয়েকটি গাড়িতে হামলা চালায়।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করেন এবং একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় চারজন গুলিবিদ্ধ হলে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় পিএমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরীক্ষার হলে আছি। বিষয়টি জানি না।’
বিআলো/শিলি