ইবিতে মুজিববাদের বিরুদ্ধে দাবানল, উঠছে কবর রচনার ঘোষণা
ইবিতে মুজিববাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, নিদর্শন সরাতে ২০ ঘণ্টার আলটিমেটাম
ইবি প্রতিনিধি: মুজিববাদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিববাদের নিদর্শন ধ্বংস করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২০ ঘন্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল টি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমবেত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে তাদের “কন্ঠে আবার লাগা জোর, মজিববাদের কবর খোর”, “আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও”, “ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর, মুজিববাদ নো মোর”, “মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, “জুলাই বিপ্লবীদের ছাড় দেওয়ায় এবং ইন্টেরিম সরকারের অসহযোগিতায় আবারো মুজিব বাদ জেগে উঠেছে। মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে পুরো বাংলাদেশ যখন শোকাহত। আওয়ামী ছাত্রলীগ, যুবলীগ একই সাথে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে কিভাবে তারা দেশকে উসকে দিয়েছে, আমাদের ছাত্রদেরকে উসকে দিয়েছে। গুজব লীগ জুলাইয়ের মতো আবারো গুজবের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। এভাবে আর থাকা যায় না। আমরা অনেক ছাড় দিয়েছি, ইন্টেরিম অনেক ছাড় দিয়েছে। আর ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। এক জুলাই পার করেছি আরেক জুলাই চলছে এই জুলায়েই মুজিবাদের কবর রচনা করতে হবে।”
ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আমরা বলেছিলাম অনতিবিলম্বে মুজিববাদের নিদর্শন ধ্বংস করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় শহিদের রক্তের উপর দাড়িয়ে আসা প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভিসির দায়িত্বে থাকা রুটিন ভিসি কি দায়িত্ব পালন করছে তা আমরা জানতে চাই। মেইন গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই মুজিববাদের নিদর্শন চোখে পড়ে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২০ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিতে চাই। এই সময়ের মধ্যে মুজিববাদের নিদর্শন ধূলিসাৎ করতে হবে।মুজিববাদের নিদর্শনের অজুহাতে গত ১৫ বছর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আওয়ামী লীগে মুজিববাদ নিয়ে কথা বলতে গেলে একটি দল খেপে যায়। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার ন্যূনতম অধিকার রাখে না। সারাদেশের ন্যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সুবিধাবাদী চক্র এই মুজিব বাদী সৈনিকদের সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। বিগত ১বছরে শিক্ষার পরিবেশ যেন লঙ্ঘন না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ ছাড় দেয়া হয়েছে।
আপনারা দেখেছেন তারা ২৪’শে গণহত্যা চালিয়েছে। আপনাদের ন্যূনতম অনুশোচনা নেই।এই বোধ না থাকলে আপনাদের ইবিতে আসার দরকার নেই। আপনারা শিক্ষক কর্মকর্তা গণহত্যাকে সমর্থন করলে ইবিতে না এসে বাসায় চুড়ি পরে বসে থাকুন।”
বিআলো/তুরাগ