ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইসিটি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বুরহান মিয়াকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে রব্বানী নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পাল্টা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
গত ২৬ জুলাই বুরহান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, ২৩ জুলাই রাত ৮টা ৩ মিনিটে একটি নাম্বার থেকে হোয়াটসঅ্যাপে এক মিনিটের ভয়েস কল আসে। সেখানে বলা হয়-‘তুমি ক্যাম্পাস থেকে পাশ করে বের হতে পারবা না। আমি জানি তুমি কোথায় থাকো, তোমার ভাবী ও দেড় বছরের ভাতিজাও কোথায় থাকে।’ এছাড়াও আমাকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে মিথ্যাচার করা হয়, যা আমার ব্যক্তিগত মর্যাদার জন্য অপমানজনক এবং জীবননাশের হুমকিসম্পন্ন।
বুরহান অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, “কল শেষে ঐ ব্যক্তি আমার বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে আমার সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে থাকে, যা আমার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরদিন ২৭ জুলাই সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী একটি পাল্টা অভিযোগপত্র জমা দেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, বুরহান মিয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি তাকে একটি ব্যক্তিগত কারণে ফোন করেছিলাম এবং নিজ নাম্বার থেকেই করেছিলাম। হুমকি দিলে তো আমি গোপনে করতাম। এটি আমার ব্যক্তিগত সুনাম ও বৈছাআ’র ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র। আমি এর শান্তিপূর্ণ সমাধান কামনা করছি।
বুরহান বলেন, আমি বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে মিটাতে চেয়েছিলাম। রব্বানী ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। তাই শেষ পর্যন্ত আমি প্রশাসনের সহায়তা নিই। আমি জানতে চাই— কেন আমাকে টার্গেট করা হলো? এ ধরনের ট্যাগিং রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। গোলাম রব্বানী বলেন, “আমি কাউকে হুমকি দিইনি। আমার বিরুদ্ধে চালানো প্রোপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান জানান, উভয়ের অভিযোগ পেয়েছি। তাদের ডেকে কথা বলা হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ছাত্র রাজনীতির পরিবেশ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্তই পারে এই সংকটের সমাধান দিতে।
বিআলো/এফএইচএস