ইরানে হিজাব ছাড়া ম্যারাথনে অংশগ্রহণ, দুই আয়োজক প্রেপ্তার
নাজমুন নাহার ঊর্মি: ইরানে একটি ম্যারাথনে কয়েকজন নারী হিজাব ছাড়া দৌড়ানোয় দুই আয়োজককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে এ খবর পাওয়া যায়। শুক্রবার ইরানের দক্ষিণ উপকূলের কিশ দ্বীপে একটি ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়। সেই ম্যারাথনে দুই হাজার মহিলা এবং তিন হাজার পুরুষ আলাদা ভাবে অংশ নেন।
নারীদের ম্যারাথনের ছবি প্রকাশ হতেই বিতর্ক শুরু হয় দেশটিতে। নিয়ম ছিল ওই ম্যারাথনে হিজাব পরে নারীরা অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু অনেকেই হিজাব ছাড়াই ম্যারাথনে হাজির হন। যা ইরানের কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘন করে। এ ঘটনায় দুই প্রধান আয়োজককে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। এর আগে বিচার বিভাগ জানিয়েছিল, আয়োজকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।

শিয়া প্রধান রাষ্ট্র ইরানে নারীদের জন্য কঠোর পোশাকবিধি রয়েছে। ৮০’র দশকে প্রণীত আইনে নারীদের জন্য কড়া শাস্তির বিধান রেখে হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। এই পোশাকবিধি নিয়ে বহুবার প্রতিবাদ হয়েছে ইরানে।
স্থানীয় প্রসিকিউটরের বরাতে জানা যায় ‘অনুষ্ঠানটি যেভাবে আয়োজন করা হয়েছে, তা সামাজিক শালীনতা লঙ্ঘন করেছে।’
এর আগেও ২০২৩ সালে দক্ষিণাঞ্চলীয় শিরাজের এক ক্রীড়া আয়োজনে হিজাব ছাড়া কয়েকজন নারী অংশগ্রহণ করার কারণে দেশটির অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের প্রধানকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।
অতীতে হিজাব পরিধান না করায় নারীদের উপর বিভিন্ন ধরনের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ২০২২ সালে হিজাব না পরার অপরাধে ইরানি তরুণী মাহসা আমিনিকে আটক করেছিল পুলিশ। ২৪ ঘণ্টা না যেতেই পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। মাহসার মৃত্যুর পর গোটা ইরানে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। দেশজুড়ে কয়েক মাস বিক্ষোভ চলে, যেখানে কয়েক শত মানুষ নিহত এবং বহু নারী-পুরুষ গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই হিজাব মানায় শৈথিল্য দেখা দেয়।
সূত্র : বিবিসি
বিআলো/এফএইচএস



