• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের শঙ্কা 

     dailybangla 
    22nd Mar 2025 7:29 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো ডেস্ক: ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের ভিড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। প্রতিবছর ঈদে এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৪ জেলার লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করে। যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। এই মহাসড়কটিতে গাড়ির চাপও থাকে বেশি। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদযাত্রায় যানজটের শঙ্কা করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তবে জনভোগান্তি কমাতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম এই মহাসড়কটি। এ কারণে প্রতিবছর ঈদে এই সড়কে যানবাহনের জটলা লাগে। শুধু ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশ ৬৫ কিলোমিটার।

    এদিকে নানা জটিলতায় গত আট বছরেও শেষ হয়নি এলেঙ্গা- হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের টাঙ্গাইল অংশের কাজ। আসন্ন ঈদেও মহাসড়কটিতে যানজটের আশঙ্কা করছেন পরিবহন চালকরা।

    তারা বলছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও তদারকির অভাবে কাজের এ ধীরগতি। আর যাত্রীরা বলছেন, সঠিক তদারকি হলে প্রতিবছরই মহাসড়কে আমাদের যানজট নামে এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। পুলিশ সুপার জানিয়েছে, যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে মহাসড়কে সাড়ে সাত শতাধিক পুলিশ সদস্য থাকবে। সেইসঙ্গে নেওয়া হবে বিভিন্ন পদক্ষেপ।

    পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতির পরেও যানজটের আশঙ্কা করছেন এই সড়কে চলাচলকারী পরিবহন চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। পরিবহন চালকরা বলছেন, ঈদ এলেই শুরু হয় তড়িঘড়ি কাজ। এতে গাড়ির গতি ঠিক থাকে না এবং
    দেবে যাওয়া রাস্তায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর মহাসড়কের চার লেনের কাজ শেষ হয়েছে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত চারলেনের কাজ করছে। এর ফলে মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যমুনা সেতুতে টোল আদায়ের সফটওয়ারে সমস্যার কারণে যদি টোল আদায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে এবং সেতুর ওপর যদি দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকা থাকে। অপরদিকে সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের অংশে গাড়ি ঠিকমতো পাস না হয় তাহলে যানজটের শঙ্কা রয়েছে। গত কয়েক ঈদেও সিরাজগঞ্জের অংশে গাড়ি ঠিকমতো পাস না হওয়ার কারণে সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকে। এতে করে টাঙ্গাইলের অংশে দীর্ঘ যানজট হয়।

    প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা সড়কে লক্করঝক্কর এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি বের করেন। এসব গাড়ি হঠাৎ করেই মহাসড়কে বিকল হয়ে যায়। এতে উভয় পাশের গাড়ি থেমে পড়ে। এক পর্যায়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় চালকের অদক্ষতা, সড়ক দুর্ঘটনা এবং গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজট হয়।

    উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনের বাসচালক রমজান মিয়া বলেন, রাস্তার কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। ঈদের ৫-৬ দিন আগে যদি কাজ শেষ না হয়। তাহলে এবারও মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করছি। গতবছরও এই মহাসড়কে দিয়ে যানজট হয়েছিল। প্রতিবছরই আমাদের যানজটের কবলে পড়তে হয়।

    আরেক বাসচালক রশীদ মিয়া বলেন, প্রতিবছর এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে চলাচল করে। ফিটনেসবিহীন গাড়ির জন্য রাস্তায় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। যার ফলে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটমুক্ত রাখতে হলে পুলিশের ভূমিকা রাখতে হবে।

    টাঙ্গাইল জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে পুলিশের সঙ্গে এবারও আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন। যানজট যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে এদিকে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা রাখতে হবে। যানজট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিরসনে ভূমিকা রাখতে হবে।

    যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, সাধারণরত প্রতিদিন যমুনা সেতু দিয়ে গড়ে ২০ থেকে ২১ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। ঈদযাত্রায় তা বেড়ে দ্বিগুণ কিংবা তার বেশি যানবাহন পারাপার হয়। ঈদযাত্রায় যমুনা সেতু দিয়ে সার্বক্ষণিক টোল চালু রাখার চেষ্টা করা হবে। এবার সেতুর দুই প্রান্তে ৯টি করে বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হবে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে আলাদা বুথ থাকবে।

    এলেঙ্গা-হাটিকুমড়ুল-রংপুর, চার লেন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ওয়ালিউর রহমান বলেন, ২০১৬ সালে প্রকল্প হাতে নিলেও টেন্ডার জটিলতায় ২০২১ সালে এই অংশের কাজ শুরু হয়। মাটি ভরাটের কিছু সমস্যা থাকায়
    কোনো কোনো জায়গায় কাজ করতে সমস্যা হয়েছে। সেসব সমস্যা কাটিয়ে কাজ চলছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারবো। আর সার্ভিসলেনের কাজ ঈদের আগেই শেষ হয়ে যাবে। এতে মানুষ চার লেনের সুবিধা পাবে।

    টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। যানজট নিরসনে টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটারে জেলা পুলিশের সাড়ে ৭শ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া মহাসড়কে মোবাইল টিম ও প্রিকেট টিম কাজ করবেন। এ ছাড়া মহাসড়কে চারটি সেক্টর ভাগ করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, আগামী ২৫ মার্চ থেকে মহাসড়কে পুলিশ ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। ঈদের পরেও যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। আশা করছি মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হবে না।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    August 2025
    M T W T F S S
     123
    45678910
    11121314151617
    18192021222324
    25262728293031