ঈদ যাত্রা শেষ ধাপে; দুর্ভোগে গাজীপুরবাসী
সীমা আক্তার: ঈদযাত্রায় মহাসড়কে ভোগান্তি ও দূর্ভোগের নাম নিতেই জনমনে ভেসে ওঠে গাজীপুর মহাসড়কের চিত্র। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস থেকে টঙ্গী কলেজ রোড পর্যন্ত সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবস।
অর্থাৎ গতকাল বুধবার (৪ জুন) গাজীপুরে বেশির ভাগ শিল্প কলকারখানা ছুটি ঘোষণায় মহাসড়কে ব্যাপক যাত্রীর চাপ বেড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যাত্রীদের চোখে মুখে নেই কোন ক্লান্তির ছাপ। এ যেন নারীর টানে বাড়ি ফিরে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা।
মহাসড়ক গুলোর বেশ কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা যায়,
শিশু থেকে বৃদ্ধ, অনেকেই হুমড়ি খেয়ে উঠছেন চলন্ত বাসে। শুধু বাসেই নয় কাভার্ড ভ্যান কিংবা ট্রাকে করেও যাত্রীদের চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে গাজীপুর মহাসড়কে এমন যানজট থাকার কারণে ঈদে ঘর মুখো মানুষদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
জানা যায়, শিল্পাঞ্চল জেলাগুলোর মধ্যে গাজীপুর জেলা অন্যতম। তবে বেশির ভাগ শিল্প কারখানা বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ব্যাপক যাত্রীর চাপ বেড়েছে। চাপ রয়েছে গণপরিবহন ও পশুবাহী গাড়ির।
থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এবার এক সাথে প্রায় সব কারখানা ছুটি হওয়ায় সড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে গাজীপুর মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সকল কাউন্টারে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিষয়টি জানালেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তারা। আব্দুল্লাহপুরে কর্মরত পরিবহন শ্রমিকরা জানান, অতিরিক্ত বাস চলাচলের কারণে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয় তাই আমরা চাই ২০ টি বাসের পরিবর্তে অন্তত একটি ট্রেন চালু করা হোক।
কেউ কেউ বলছেন ঈদের আগের দিন অর্থাৎ আগামীকাল শুক্রবারও মানুষের এই চাপ মহাসড়কে দেখা যাবে। তবে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে মহাসড়কগুলোতে নিরাপত্তার নিশ্চিত করণে কাজ করে যাচ্ছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিআলো/তুরাগ