উত্তরের চার জেলা প্লাবিত হতে পারে: তিস্তা-দুধকুমারের পানি বিপৎসীমায়
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহমুদুল ইসলাম শোভন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বেড়েছে, তবে ধরলা নদীর পানি কিছুটা কমেছে। আগামী দুই দিনে তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে, যদিও তৃতীয় দিনে পানি নামতে শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া সিলেট বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আগামী দুই দিনে রংপুর বিভাগ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে দেশের সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি বেড়েছে। গঙ্গার পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় সতর্কসীমা স্পর্শ করতে পারে, এরপর দুই দিন স্থিতিশীল থেকে কমতে পারে। পদ্মার পানি চার দিন ধরে বাড়তে পারে এবং সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে, পরে স্থিতিশীল থাকবে। সিলেট ও ময়মনসিংহের ভুগাই ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বেড়েছে, তবে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াইসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি কমেছে। আগামী তিন দিনে সোমেশ্বরী, ভুলাই ও কংস নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে বর্তমানে স্বাভাবিক জোয়ার বিরাজ করছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থেকে পরবর্তী দুই দিনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ারে রূপ নিতে পারে।
বিআলো/এফএইচএস