এইচএসসি-২০২৫: ধস, কারণ ও করণীয় জানালেন বোর্ড ও উপদেষ্টা
বিআলো প্রতিবেদক: ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে হঠাৎ বড় ধস নেমেছে। গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের ৭৭.৭৮ শতাংশের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ কম। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এবং অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ফলাফলের কারণ ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলছেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে। ‘তাদের অনেকটাই পড়ার টেবিল থেকে দূরে থাকতে দেখা গেছে,’ তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, ফলাফলকে জীবনের চূড়ান্ত মূল্যায়ন হিসেবে গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। শিক্ষক ও শিক্ষা বোর্ডগুলোকে শিক্ষার্থীদের পুনরায় মোটিভেট করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, ‘ফলাফল শুধুই পরিসংখ্যান নয়, এটি শেখার বাস্তবতার প্রতিফলন।’ তিনি উল্লেখ করেন, প্রাথমিক স্তর থেকেই শেখার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে এবং দীর্ঘদিন ধরে তা উপেক্ষা করা হয়েছে। ‘পাসের হার ও জিপিএ-৫-এর সংখ্যা দেখিয়ে আমরা শিক্ষার প্রকৃত সংকট আড়াল করেছি,’ তিনি জানান। শিক্ষা ব্যবস্থা এখন সততার সঙ্গে শিক্ষার্থীর প্রকৃত শিক্ষার মূল্যায়ন করতে হবে, এটি নিশ্চিত করতে বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফলাফল প্রকাশের পর বোর্ড ও মন্ত্রণালয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্ব-মূল্যায়ন ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার মূল ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্দেশ্য শুধু অভিযোগ নয়, বাস্তব সমাধান খুঁজে শেখার মান উন্নয়ন করা।
এবারের ফলাফলে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ৬৯,০৯৭ জন। দিনাজপুর বোর্ডে ৪৩টি কলেজে কেউ পাস করেনি, পাশের হার ৫৭.৪৯ শতাংশ।
বিআলো/শিলি