এই সময়ে এসেও একসঙ্গে গান করতে চান তারা দু’জন
অভি মঈনুদ্দীন: খুরশীদ আলম ও লীনু বিল্লাহ. বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের দুই জীবন্ত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী। দুজনের মধ্যে রয়েছে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এখন তারা দুজন এমন একটা বয়সে এসে পৌঁছেছেন দুজনের পারিবারিক বন্ধুদের আয়োজনে নানান ধরনের অনুষ্ঠানে তাদের প্রায়ই দেখা সাক্ষাৎ হয়ে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও তাদের একসঙ্গে দেখা হয়, গল্প, আড্ডা হয়। গত শুক্রবার রাতে ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন রোডের ‘লেডিস ক্লাব’-এ গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ছেলের বিয়েতে দেখা হয় খুরশীদ আলম ও লিনু বিল্লাহ’র।
সেখানেই গল্পে গল্পে উঠে আসে তাদের কিছু ইচ্ছের কথা, স্বপ্নের কথা। সিনেমাতে খুরশীদ আলম ও অ্যাণ্ড্রু কিশোর বেশকিছু দ্বৈত গান গেয়েছেন। সেসব গান পেয়েছেও বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা। ঠিক এমনই গান করতে চান খুরশীদ আলম ও লিনু বিল্লাহ। সিনেমার সেই স্বর্ণালী দিন আজ না থাকলেও এই ট্রেণ্ডি সময়কে মেনে নিয়েই তারা দুজন আধুনিক একটি গান হলেও করতে চান। খুরশীদ আলম বলেন, লীনু বিল্লাহ ও আমার মধ্যে সম্পর্কটাব বন্ধুত্বের। বহু বছরের এই সম্পর্ক।
আমাদের কোনো না কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হয় নানান উপলক্ষে। তখনই মূলত গল্প আড্ডা জমে উঠে। লেডিস ক্লাবেও জমে উঠেছিলো আড্ডা। কথায় কথায় আমাদের দুজনের একটি গান করারও ইচ্ছে হলো। যদিও বা সিনেমার সেই দিন আর এখন নেই। কিন্তু তারপরওতো গান হচ্ছে। যেহেতু আমার ও লীনুর দুজনেরই ইচ্ছে একসঙ্গে গান করার। তাই কেই যদি উদ্যোগ নিতেন তাহলে আমরা তা প্রবল আগ্রহ নিয়ে গাইতাম। জানিনা এই স্বপ্ন বা ইচ্ছে পূরণ হবে কী না। তবে স্বপ্ন দেখতেতো মানা নেই। লীনু বিল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে বহু অডিও ভিডিও প্রযোজনা সংস্থা আছে। যেমন লেজার ভিশন, অনুপম, সঙ্গীতা, সাউন্ডটেক, গানচিল, ধ্রুব মিউজিক স্টেশন, সিএমভিসহ আরো বেশকিছু নতুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
এসব স্বনামধন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চাইলেই একটি উদ্যোগ নিতে পারেন। যদি উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে আমি আর আমার বন্ধু খুরশীদ আলঠম অবশ্যই গান গাইবো। যদি এই স্বপ্ন পূরণ হয় তাহলে মনের ভেতর প্রবল শান্তি পেতাম। কারণ কিছু আশা কিছু স্বপ্ন পূরণ হলে সত্যিই শিল্পীর ভীষণ ভালোলাগে। জানিনা আমাদের এই স্বপ্ন পূরণে কেউ এগিয়ে আসবে কি না। তবে সত্যিই যদি কেউ পরিকল্পনা করেন তাহলে খুউব কৃতজ্ঞ থাকবো সেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রতি কিংবা সেই ব্যক্তির কাছে।
লীনু বিল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর টু’র অধীনে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। ‘ও আমার বাংলা মা তোর’ দেশাত্ববোধক জনপ্রিয় এই গানটি প্রথম বাংলাদেশের শ্রোতা দর্শকেরা তার কণ্ঠেই শুনেছিলেন। লীনু বিল্লাহর গানের অ্যালবাম হচ্ছে ‘বেস্ট অব লীনু বিল্লাহ’, ‘গীতি কেমন আছো’, ‘কথা আছে’। অন্যদিকে খুরশীদ আলমের কণ্ঠে বহু জনপ্রিয় সিনেমার গান রয়েছে। যারমধ্যে বিশেষত উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘মাগো মা ওগো মা’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘ও দুটি নয়নে স্বপন চয়নে’, ‘আজকে না হয় ভালোবাসো’, ‘চুরি করেছো আমার মনটা’, ‘বাপের চোখের মনি নয়’, ‘যদি বউ সাজোগো’সহ আরো অসংখ্য গান।
বিআলো/ইমরান