এ.সি.ইউ ওয়েবসাইটে প্রথম বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তাওহীদ
এফ এইচ সবুজ : বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তাওহীদ অস্ট্রেলিয়ান ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি (এ.সি.ইউ)-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তার পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের গল্প। গর্বের বিষয় হলো, তিনিই প্রথম বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যিনি এ.সি.ইউ-র ওয়েবসাইটে স্থান পেয়েছেন।
শৈশব থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ ছিল তাওহীদের। ভিডিও গেমস শুধু খেলা নয়, বরং কীভাবে তৈরি হয় তা জানার কৌতূহল থেকেই শুরু হয়েছিল তার যাত্রা। স্কুলে পড়ার সময় পাইথনসহ নানা প্রোগ্রামিং ভাষা শেখেন তিনি। এরপর ওয়েব ডিজাইনের প্রতিও আগ্রহ জন্মে।
২০২৪ সালে তাওহীদ ভর্তি হন এ.সি.ইউ-তে ব্যাচেলর অব ইনফরমেশন টেকনোলজি কোর্সে। তিনি বলেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম প্রায় একই রকম হলেও এ.সি.ইউ-তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে সাইবার সিকিউরিটি পর্যন্ত শেখার সুযোগ আছে। পাশাপাশি কোর্সের অংশ হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি সার্টিফিকেশন দেওয়া হয়, যা চাকরির বাজারে বাড়তি যোগ্যতা তৈরি করে।
এরই মধ্যে তাওহীদ মাইক্রোসফট এক্সেল ও মাইক্রোসফট আজুর ফান্ডামেন্টালস সার্টিফিকেশন অর্জন করেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা উদ্যোগেও এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি তৈরি করেছেন ‘সফটওয়্যার কফি ট্র্যাকার’, যা গ্রাহকের কফি কেনার হিসাব রাখে এবং ফ্রি কফির সময় হলে ক্যাফেকে নোটিফিকেশন পাঠায়।
ভবিষ্যতে গুগল, টেসলা কিংবা মেটার মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন তাওহীদ। নিজের ফেসবুক পোস্টে তাওহীদ লেখেন, বাংলাদেশে ভর্তি পরীক্ষার সময় ভেবেছিলাম বিইউইটি-তে ভর্তি হয়ে পরিচিত মুখ হব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুঝেছি, আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী। আজ আমি গর্বিত যে অস্ট্রেলিয়া ও ইতালি-দুটি দেশে আমার প্রথম বর্ষের সাফল্য স্বীকৃতি পেয়েছে। স্থানীয় স্বপ্ন থেকে বৈশ্বিক স্বীকৃতি-এটা আমার জীবনের অসাধারণ রূপান্তর।
তিনি আরও বলেন, ‘সমস্ত প্রশংসা কেবল মহান আল্লাহর জন্য।
বিআলো/এফএইচএস