ওয়াকফ এস্টেটগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হচ্ছে — ধর্ম উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, ওয়াকফ এস্টেটগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। এটি সম্পন্ন হলে ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা আরও সাবলীল ও মসৃণ হবে।
আজ সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে রুপায়ন ট্রেড সেন্টারে হামদর্দ মিলনায়তনে মোতাওয়াল্লী সমিতি বাংলাদেশ আয়োজিত মতবিনিময় ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ওয়াকফ এস্টেটের সাবলীল ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ওয়াকফ সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে একটি আলাদা বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ওয়াকফ ইসলামি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা রাসুল (স.) এর যুগ থেকে চলে আসছে। এর মাধ্যমে জনকল্যাণমূলক ও সেবামূলক কাজ সম্পন্ন হয়।
ড. খালিদ বলেন, যারা ওয়াকফ করেন তাদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত মহৎ –আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, মানুষের সেবা, জনকল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য তারা মূল্যবান সম্পত্তি ওয়াকফ করেছেন। ওয়াকিফদের এই মহৎ উদ্যোগ যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য মোতাওয়াল্লীদের সতর্ক থাকতে তিনি অনুরোধ জানান।
ওয়াকফ প্রশাসনের সকল কর্মকাণ্ড আইন ও নিয়ম–কানুনের আলোকে পরিচালিত হবে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মোতাওয়াল্লীরা ওয়াকফ এস্টেটের মালিক নন, তারা কেবল ব্যবস্থাপক। ওয়াকফ দলিল অনুযায়ী মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হবেন এবং দলিলের বাইরে কাউকে মোতাওয়াল্লী করা যাবে না। তিনি প্রশাসনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রোধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং অবৈধ ও অসৎ মোতাওয়াল্লীদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।
মোতাওয়াল্লী সমিতির সভাপতি ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ওয়াকফ এস্টেটের সংকট উত্তরণে করণীয় বিষয়ক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটোয়ারী। ধর্ম উপদেষ্টা প্রস্তাবনাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ আমিরুল মোমেনীন মানিক বক্তৃতা করেন। আয়োজক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বিআলো/এফএইচএস