কক্সবাজারে দুই দিনব্যাপী ট্যুরিজম আর্কিটেকচার সামিট
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পর্যটন গন্তব্য কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী “ট্যুরিজম আর্কিটেকচার সামিট”। ‘ডিসকোর্স বাই দ্য শোর: ট্যুরিজম আর্কিটেকচার সামিট–২০২৫’ শিরোনামের এ আয়োজন হবে ১১ ও ১২ জুলাই, কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপ সৈকতের পরিবেশবান্ধব মারমেইড বিচ রিসোর্টে। সম্মেলনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন প্রখ্যাত স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম।
বিস্তৃতভাবে অনিয়ন্ত্রিত হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ নির্মাণ এবং অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে কক্সবাজারের পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই শহরের প্রধান সড়ক ও সৈকত সড়ক ডুবে যায়, বর্জ্য মিশে যায় সমুদ্র ও নদীর পানিতে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে আয়োজিত এ সম্মেলনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন ও স্থাপত্যের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে।
সম্মেলনের প্রথম দিন শুরু হবে ‘ইকো ট্যুরিজম এবং স্থাপত্যচর্চায় টেকসইতা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায়। এতে অংশ নেবেন স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম, খোন্দকার হাসিবুল কবির ও এহসান খান। বিকেলে সাতজন স্থপতি তাঁদের গবেষণা ও নকশা ধারণা উপস্থাপন করবেন। দিন শেষ হবে প্রাকৃতিক পরিবেশে গাইডেড সানসেট মেডিটেশন এবং নকশা অনুশীলনের মাধ্যমে।
দ্বিতীয় দিনে আরও ১০ জন স্থপতি দুটি পৃথক সেশনে তাঁদের ভাবনা ও ধারণা তুলে ধরবেন। শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হবে ওপেন ফ্লোর প্যানেল আলোচনা, যেখানে মডারেটর থাকবেন মাহমুদুল আনওয়ার রিয়াদ ও নাহাস খলিল। সমাপনী বক্তব্যে সম্মেলনের সারমর্ম তুলে ধরবেন মেরিনা তাবাসসুম।
আয়োজক মারমেইড বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী বলেন, “কক্সবাজার এখনো একটি বিকাশমান অঞ্চল। পরিবেশবান্ধব কক্সবাজার গড়তে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি জানান, উপকূলীয়, সাংস্কৃতিক এবং টেকসই দিকগুলো বিবেচনায় এনে পর্যটননির্ভর উন্নয়নে স্থাপত্যের ভূমিকা নতুন করে চিন্তা করা হবে এ সম্মেলনে।
বিআলো/তুরাগ