কচুয়ায় বড় পর্দায় প্রদর্শিত হলো তারেক রহমানের ঐতিহাসিক সাক্ষাতকার
জনসাধারণের উপস্থিতিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহময় পরিবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: কচুয়া উত্তর বাজারে সন্ধ্যায় জমে ওঠে রাজনৈতিক উন্মাদনা, যখন বড় পর্দায় প্রদর্শিত হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক সাক্ষাতকার। সম্প্রতি বিবিসি বাংলায় প্রচারিত এই সাক্ষাতকারে দেশ পরিচালনার দিকনির্দেশনা এবং নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। কচুয়া বাসী ও নেতাকর্মীরা গভীর আগ্রহ ও উত্সাহের সঙ্গে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
এই বিশেষ আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন কচুয়ার সাবেক এমপি, জোট সরকারের সাবেক সফল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, বিএনপির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য চাঁদপুর-১, কচুয়া থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন। তিনি বলেন, “দেশের এই ক্রান্তিকালে দেশনায়ক তারেক রহমানের সাক্ষাতকার আমাদের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে। তাই কচুয়া বাসীর জন্য আজকের প্রদর্শন আয়োজন।”
তারেক রহমানের বক্তব্য প্রদর্শনের খবর পেয়ে কচুয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেতা-কর্মীরা দলবদ্ধ হয়ে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠান শুরুতেই ড. মিলন সাক্ষাতকারটির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং কচুয়ার জনগণকে এর মাধ্যমে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি ড. মিলন আরও বলেন, “আমি কচুয়ার মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছি। আমি অবর্ণনীয় ও নজিরবিহীন জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছি। আগামীতেও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মেরামত ও কচুয়ার ব্যাপক উন্নয়ন বাস্তবায়নে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানকে সমর্থন করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে কচুয়ার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দসহ প্রায় বিশ হাজার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সবাই গভীর মনোযোগসহকারে সাক্ষাতকারটি দেখেন এবং দেশ ও কচুয়ার উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করার সংকল্প ব্যক্ত করেন। বড় পর্দায় প্রদর্শিত এই ঐতিহাসিক সাক্ষাতকার কচুয়া বাসীর মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নেতৃত্বের প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় করেছে।
বিআলো/তুরাগ



