কণার নতুন রঙ ‘নয়নের আলো’
অভি মঈনুদ্দীন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা বর্তমানে তার সঙ্গীত জীবনের সবচেয়ে উপভোগ্য সময় পার করছেন। বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এই মুহূর্তে তিনি অন্যতম চাহিদা সম্পন্ন এবং হিট গায়িকা।
বিশেষ করে ‘দুষ্টু কোকিল’ গানটির সুপারহিট হওয়ায় কণার নাম আলোচনায় চলে এসেছে। এর ফলে দেশ-বিদেশে স্টেজ শোতে তার চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গেছে।
সম্প্রতি কণা বেশ কিছু মৌলিক গানের কাজ শেষ করেছেন এবং নাটকের জন্যও কণ্ঠ দিয়েছেন। তার সাম্প্রতিক গানটি হলো ‘নয়নের আলো’, যা একটি নাটকে ব্যবহৃত হবে। গানটির রেকর্ডিং শেষ হয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন সালমা সুলতানা, সুর করেছেন শফিক তুহিন, আর কণার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন শফিক তুহিন নিজেও। সঙ্গীতায়োজন করেছেন সালমান জায়েম।
কণা বলেন, “ঠিক কত বছর পর শফিক তুহিন ভাইয়ের সুরে গান গেয়েছি তা মনে নেই। বহু বছর পর আবার তার সুরে গান গাইলাম। সত্যি বলতে, তিনি সবসময়ই অসাধারণ সুর করেন। কিছুদিন আগে তার সুরে রুনা লায়লা ম্যাডামও একটি গান করেছেন, যা আমার খুব ভালো লেগেছে। ‘নয়নের আলো’ও আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। শিরোনাম, কথা, সুর সবই অসাধারণ।”
এদিকে, ‘নয়নের আলো’ নামের একটি পুরনো বাংলাদেশি সিনেমাও রয়েছে, যা নির্মাণ করেছিলেন বেলাল আহমেদ। এতে অভিনয় করেছেন জাফর ইকবাল, কাজরী ও সুবর্ণা মোস্তফা। সিনেমার গানগুলো দর্শক-শ্রোতার মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখেছিল।
আগামী ৭ নভেম্বর ঢাকার গাজীপুরে একটি শোতে কণা গান পরিবেশন করবেন। এছাড়াও, ১৯ অক্টোবর রেডিসনে একটি শোতে অংশ নিয়েছেন। কণা প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিলেন চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্ব সুন্দরী’ সিনেমার মাধ্যমে। মাত্র চার বছর বয়সেই গান শেখা শুরু করেছিলেন, আর প্রথম আনুষ্ঠানিক গান ছিল ‘গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ’।
কণা তার সঙ্গীত জীবন শুরু করেছিলেন ২০০০ সালে। প্রথম অ্যালবাম ‘জ্যামিতিক ভালবাসা’ প্রকাশ পায় ২০০৬ সালে।
বিআলো/শিলি



