• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর 

     dailybangla 
    10th Oct 2025 7:51 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘যতই সংস্কার করি, বুদ্ধিজীবী মিলে কৌশল আবিষ্কার করার চেষ্টা করি কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারব না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য একমাত্র পথ সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্রের জন্য আর বিকল্প কোনো পথ নেই। কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না।’ আজ শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী, স্বাধীনতাকামী। তারা বার বার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য। দুর্ভাগ্য হচ্ছে সেই লড়াইয়ে মানুষ বার বার হোঁচট খেয়েছে। যতবার হোঁচট খেয়েছে, ততবার উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘দানব হাসিনা দেশের সব কিছুকে তছনছ করে দিয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা- সব জায়গায় সে তছনছ করে দিয়েছে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে দাবি করেন। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছে।’ মার্কা দেওয়ার এখতিয়ার ইসির, ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন?

    এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিলে ধানের শীষ প্রতীক বাতিল করতে হবে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ভাই আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাধা দিইনি। স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা। মির্জা ফখরুল বলেন, কোন মার্কা তোমাদের দেবে, তা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। অযথা বিএনপির ধানের শীষকে নিয়ে টানাটানি কেন? কারণ ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য। সারা দেশে ধানের শীষের স্লোগান উঠেছে।’
    তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে দাবি করেন। অথচ গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছে।’

    ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দানব হাসিনা দেশের সব কিছুকে তছনছ করে দিয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা-সব জায়গায় সে তছনছ করে দিয়েছে।’ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশে ভয়ংকর রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘ধর্ম, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের চেয়ে ক্ষমতা বড় না হোক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

    শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশবিরোধী শক্তি ও পার্শ্ববর্তী দেশের এক ভয়ংকর প্রভাবশালী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনা আশ্রয় নিচ্ছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে পথে যাওয়ার কথা, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন কিন্তু সেটি হয়নি। সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্যথায়, বাংলাদেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্র চারদিকে চলছে, সেখানে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি ভয়ংকর শক্তি কাজ করছে; যেখানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আশ্রয় নিয়েছে। ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারত কখনোই গণতন্ত্রের বা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা সবসময় বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে। এ দেশের মানুষকে তারা শোষণের ক্ষেত্র হিসেবে দেখে।

    তারা বিশ্বজুড়ে প্রচার চালাচ্ছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনেক হিন্দু নাগরিক নিজেরাই সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন, ভারতের এই অভিযোগ সত্য নয়। তাই ভারত সম্পর্কে আমাদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল তাদের নিজ নিজ কথা বলবে, কিন্তু একটি বিষয়ে সবার ঐক্য থাকা জরুরি। তা হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। জনগণ তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি; ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ভোটের নামে তামাশা হয়েছে। তাই আসন্ন নির্বাচনটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি (ভিপি) মো. মাইনুল ইসলাম তালুকদার (বাদল)। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান (মনির), দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে. এম. রকিবুল ইসলাম রিপন, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান টোটন এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. সুলাইমান প্রমুখ।
    অবাধ্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বিএনপি : দ্রুত আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে ‘সবুজ সংকেত’ না দিলে অনেক জায়গায় দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং বাড়তে পারে বলে শঙ্কার কথা কেন্দ্রকে জানিয়েছে বিএনপির তৃণমূল নেতারা।

    এতে নড়েচড়ে বসেছে দলটির নীতিনির্ধারকরা। তারা তৃণমূল নেতাদের ডেকেছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন। যারা এই নির্দেশনা না মানবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। অন্তত ২৫টি নির্বাচনি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ১০টি জেলার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একক প্রার্থী বাছাইয়ে কাজ করছে বিএনপি। তফশিলের আগেই ৩০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘সবুজ সংকেত’ দিতে চায় দলটি।
    তারা জানিয়েছে, কেন্দ্র থেকে একক প্রার্থীকে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হলে অন্য যারা মনোনয়নপ্রত্যাশী, তারা ওই একক প্রার্থীকে সমর্থন করে ঐক্যবদ্ধভাবে গণসংযোগ করবেন। যারা এ নির্দেশনা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলটির নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, যেসব আসনে বেশি প্রার্থী বা জটিলতা বেশি, সেসব আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের গুলশান কার্যালয়ে ডেকে নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। একক প্রার্থী নির্ধারণে বেশ কয়েকটি মানদণ্ড দেখা হচ্ছে।

    আবার যেসব আসনে দুই বা ততোধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন, নিজ এলাকায় তাদের সবাই জনপ্রিয় এমন ক্ষেত্রে একক প্রার্থী ঠিক করা একটু কঠিন হতে পারে।সেক্ষেত্রে একজনকে ‘সবুজ সংকেত’ দিয়ে বাকিদেরও ক্ষমতায় গেলে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে-এমনটা সিদ্ধান্ত রয়েছে। সুতরাং একক প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি অসুবিধা হবে না বলে নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন। সম্প্রতি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, শিগ্গিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য আমরা গ্রিন সিগন্যাল (সবুজ সংকেত) দেব। তবে সেটা চূড়ান্ত নয়। তফশিল ঘোষণার পর পার্লামেন্টারি বোর্ডের মাধ্যমে আমরা চূড়ান্ত মনোনয়ন দেব। তিনি এও বলেন, প্রতিটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছেন। অনেক আসনে আমাদের পাঁচজন, সাতজন এবং দশজন করে যোগ্য প্রার্থী আছেন। সুতরাং একটা নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি আমাদের দেখতে হচ্ছে।

    দলীয় সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের প্রক্রিয়াটি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই দেখভাল করছেন। ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটি তার ওপর এই দায়িত্ব দিয়েছে। তবে আগামী দিনে দলীয় মনোনয়ন কারা পাবেন, সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কোনো একটি পার্টিকুলার এলাকা থেকে দলের এমন একজন ব্যক্তিকেই নমিনেশন দিতে চাইব, যিনি ওই এলাকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন আছেন। যার সঙ্গে ওই এলাকার মানুষের সম্পৃক্ততা আছে, ওঠাবসা আছে, মানুষের সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। যার সঙ্গে ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ, তরুণ, নারী, মুরুব্বিসহ ছাত্র-ছাত্রী সবার যোগাযোগ আছে। এ ধরনের মানুষকেই আমরা অগ্রাধিকার দেব। জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত। একক প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। কবে নাগাদ সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে, সেটা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবেন।

    বিআলো/ইমরান

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    October 2025
    M T W T F S S
     12345
    6789101112
    13141516171819
    20212223242526
    2728293031